হিন্দু ধর্মে, পূর্ণিমা তিথিটিকে খুব বিশেষ এবং শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, পূর্ণিমার দিনেই দেবী লক্ষ্মী সমুদ্র মন্থন থেকে বেরিয়ে আসেন। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। এই দিনে ভগবান বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল। স্কন্দপুরাণ অনুসারে, মহাত্মা বুদ্ধকে ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে চন্দ্র তার ষোলটি কলায় পূর্ণ থাকে। এই দিনে দান ও স্নান করলে পুণ্য লাভ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। পৌরাণিক কাহিনিতে বলা হয়েছে, যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম বন্ধু সুদামা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে দ্বারকায় আসেন, তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে পূর্ণিমার উপবাসের গুরুত্ব জানান।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ৪ মে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৪ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে দ্বিতীয় দিন, শুক্রবার, ৫ মে রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে। উদয় তিথি অনুযায়ী আগামী ৫ মে শুক্রবার বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে। এ বছরও বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে। এই দিনে ভগবান সত্যনারায়ণের ব্রতকথা পাঠ এবং ভগবান গৌতম বুদ্ধের পুজো করার বিধান আছে।
বৈশাখ পূর্ণিমা ২০২৩ শুভ মুহূর্ত
স্নানের সময় – সকাল ০৪.১২ – সকাল ০৪.৫৫
সত্যনারায়ণ পুজোর মুহূর্ত – সকাল ০৭:১৮ থেকে ৮.৫৮অবধি
চন্দ্রদেবকে অর্ঘ্য প্রদানের সময় – সন্ধ্যা ০৬.৪৫ এ