রবিবাসরীয় রাতে লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে তোলপাড় করা ঝড় উঠেছিল। সেই ঝড়ের নাম সুনীল নারিন। আর নারিন ঝড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টস একেবারে কুপোকাত। কেএল রাহুলের দলের বিরুদ্ধে নারিন ৩৯ বলে বিধ্বংসী ৮১ রান করে। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ছ'টি চার, সাতটি ছক্কায়। যার হাত ধরেই কলকাতা নাইট রাইডার্স ৯৮ রানে জয় ছিনিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে কেকেআর আইপিএল পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে উঠে আসে।
এদিন নাইটরা নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করেছিল। জবাবে রান তাড়া করতে নামলে লখনউকে ১৬.১ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট করে দেয় কেকেআর। এটি শ্রেয়স আইয়ারদের ১১টি ম্যাচের মধ্যে অষ্টম জয় ছিল। এবং এই জয়ের হাত ধরে নাইট রাইডার্স রবিবার প্রায় প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে। তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের চেয়ে কলকাতার দল একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে।
কেকেআর-এর লক্ষ্য
লখনউয়ের ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত এই জয়ের পরে, কেকেআর পেসার হর্ষিত রানা বলেছেন যে, দল তাদের আসন্ন ম্যাচগুলিতে একই ভাবে খেলার চেষ্টা করবে। এবং বাকি ম্যাচগুলি জিততে তারা মরিয়া হয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, হর্ষিত রানা লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
ম্যাচের পর রানা বলেছেন, ‘আমরা কোনও কিছুকে হালকা ভাবে নিতে চাই না এবং প্লে অফে উঠতে আমাদের এই ভাবেই খেলে যেতে হবে। কোচেরা আমাকে হার্ড লেন্থে আঘাত করার দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছিলেন এবং আমি একই কাজ করার পুরষ্কার পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: ৯৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হার, লজ্জায় মুখ পুড়িয়ে অবাঞ্ছিত নজির গড়ল কেএলের লখনউ
রাসেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রানা
সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমার যে ক্ষেত্রগুলিতে উন্নতি করতে হবে, সেগুলি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে যখন ও (রাসেল) আসে এবং মাঝের ওভারগুলিতে উইকেটগুলি তুলে নেয়, সেটা ম্যাচের গতি পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।’ কেকেআর-এর পরবর্তী ম্যাচ ১১ মে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে।
একানাতে নজির কেকেআর-এর
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ে ফেলে নাইটরা। ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করে কেকেআর গড়ে ফেলে বড় নজিরও। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে যে কোনও টি২০ ম্যাচে এই প্রথম বার দু'শো রানের গণ্ডি পার হল। এর আগে এই স্টেডিয়ামে কখনও কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে, সেটা আন্তর্জাতিক হোক বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, ২০০ রান হয়নি। সেই ইতিহাস বদলে দিল কেকেআর।