বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। প্রাণ দুই রাজমিস্ত্রির। এছাড়াও গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন অন্য এক রাজমিস্ত্রি। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের আমডাঙায়। ওই বাড়ির উপর দিয়ে গিয়েছিল এটি হাই টেনশন বিদ্যুতের তার। ওই তারের সংস্পর্শে আসতেই দুই রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। মৃত ২ রাজমিস্ত্রির নাম মফিজুল মণ্ডল এবং সান্টু মণ্ডল। জখম রাজমিস্ত্রির নাম মইদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে রাস্তায় পড়ে বিদ্যুতের তার, পা দিতেই তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু মা–মেয়ের
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমডাঙার রাহানা এলাকার বাহারুল মণ্ডলের বাড়ি তৈরি করছিলেন ওই রাজমিস্ত্রিরা। ওই বাড়ির পাশ দিয়েই গিয়েছিল একটি হাই টেনশন বিদ্যুতের তার। কাজ করার সময় কোনওভাবে সেই তার স্পর্শ করে ফেলেন সান্টু মণ্ডল এবং মফিজুল। মইদুল ইসলাম নামে আরও একজন রাজমিস্ত্রিও সেই তার স্পর্শ করে ফেলেছিলেন। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে গিয়ে মৃত্যু হয় মফিজুলের। অন্যদিকে, মইদুল ইসলাম গুরুতর জখম হন। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল স্থানীয়দের। এদিনের ঘটনার পর ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। তারা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তারা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।
এদিনের দুর্ঘটনার জন্য তারা বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন। পরে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তারা মৃত এবং আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেন। তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এলাকার উপর দিয়ে হাই টেনশন বিদ্যুতের তার গিয়েছে অথচ সেই তার কভার করা হয়নি। বারবার বিদ্যুৎ দফতরের কাছে আবেদন জানানো হলেও সেই তার খোলা অবস্থায় রয়েছে। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।