তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের থিরুনামে রয়েছে আদি যোগীর বিশ্বের বৃহত্তম আবক্ষ মূর্তি। সেই আদলে এবার নদিয়ার নবদ্বীপে তৈরি হচ্ছে বিশালাকার একটি শিবমূর্তি বা আদি যোগীর মূর্তি। যার উচ্চতা হল ৪০ ফুট। এই মূর্তিটি নির্মাণ তৈরি হলে সেটি ত্রিপুরার মণ্ডপে। ১৫ জন সহযোগী শিল্পীর সাহায্যে বিশালাকার এই মূর্তি তৈরি করছেন নবদ্বীপের কপালিপাড়ার মৃৎশিল্পী গৌতম পাল। এত বৃহদাকার আদি যোগীর মূর্তি এর আগে কখনও দেখেননি এলাকার মানুষজন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নির্মীয়মাণ এই মুহূর্তটি দেখতে ভিড় করছেন বহু মানুষ। এই মূর্তি তৈরি প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন গৌতম বাবু।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ শিবমূর্তি কোনগুলি জানেন? দেখে নিন, কোথায় কোথায় আছে এগুলি
এত বড় এই মূর্তি ভিন রাজ্যে নিয়ে যেতেও সমস্যা। সেক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই কারণে মূর্তিটি কয়েকটি খন্ডে তৈরি করা হচ্ছে। বাকি কাজ যেমন রং সহ অন্যান্য কাজ ত্রিপুরার মণ্ডপে বসিয়ে করানো হবে বলে জানিয়েছেন গৌতম পাল। তিনি জানান, প্রায় দুমাস ধরে এই মূর্তিটি তৈরি করা হচ্ছে। এরজন্য লাগাতার কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। এই মূর্তিটি তৈরি হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। গৌতম বাবু জানান, প্রথমে বাঁশের কাঠামো তৈরি করে তাতে খড় দেওয়া হয়। এরপর তাতে মাটি এবং প্যারিস দিয়ে মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহেই এই মূর্তিটি ত্রিপুরায় উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এর আগেও তিনি অনেক বড় মূর্তি তৈরি করেছেন। ১০০ মিটার অবধি মূর্তি তৈরি করেছেন তিনি। কিন্তু, এত বড় মুখ আগে তৈরি করেননি। আগে অন্যজনের অধীনে তিনি কাজ করতেন। এখন নিজেই চুক্তি নিয়ে কাজ করেন। কাজের সূত্রে তিনি এর আগে বাংলাদেশ, কানাডা প্রভৃতি দেশেও গিয়েছেন বলে জানান।
কীভাবে এই মূর্তি তৈরির কাজ পেলেন? সে বিষয়ে তিনি জানান, ত্রিপুরাতে এবছর কমল সাধুখা নামে এক মণ্ডপ শিল্পী ত্রিপুরাতে একটি পুজো মণ্ডপ তৈরি করেছেন। ওই পুজো মণ্ডপটি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের থিরুনামের আগলে তৈরি করা হয়। সেখানে তিনি আদি যোগীর মূর্তি তৈরির বরাত পেয়েছিলেন। তখন তিনি গৌতম পালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর এত বড় মূর্তি তৈরির কথা শুনে গৌতম বাবু না করতে পারেননি। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের থিরুনামে অবস্থিত শিব মূর্তিটি সর্ববৃহৎ আবক্ষ ভাস্কর্য হিসেবে গিনিস বুক রেকর্ডে স্বীকৃতি পায়। ওই মূর্তিটি ৩৪ মিটার লম্বা এবং তার দৈর্ঘ্য হল ৪৫ মিটার, প্রস্থ ২৫ মিটার। ওই শিব মূর্তিটি ইস্পাতের তৈরি।