আইপিএল ২০২৪-এর প্রথম ২টি ম্যাচে পৃথ্বী শ-কে ছাড়াই মাঠে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। একজোড়া ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে মিচেল মার্শকে ওপেন করতে পাঠায় দিল্লি। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে পৃথ্বীকে প্রথমবার মাঠে নামায় ক্যাপিটালস।
নিজের প্রথম ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে পৃথ্বী শ ৪৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। কেকেআরের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন পৃথ্বী। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৬৬ ও লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৩২ রানের ইনিংস খেলে নজর কাড়েন পৃথ্বী। তবে তার পর থেকে ফের তাঁর পারফর্ম্যান্স গ্রাফ নীচের দিকে নামতে থাকে।
গুজরাটের বিরুদ্ধে একজোড়া ম্যাচ ও সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন পৃথ্বী। শেষ তিনটি ম্যাচে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ৭, ১৬ ও ১১ রান। স্বাভাবিকভাবেই পৃথ্বীর পারফর্ম্যান্স খুশি করতে পারেনি দিল্লির টিম ম্যানেজমেন্টকে। ফলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নিজেদের দশম লিগ ম্যাচে পৃথ্বীকে বাদ দেয় ক্যাপিটালস।
৭ ম্যাচে সাকুল্যে ১৮৫ রান সংগ্রহ করা পৃথ্বীর বদলে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের সঙ্গে দিল্লি ওপেন করতে পাঠায় অভিষেক পোড়েলকে। তাদের গেম প্ল্যান কার্যকরী প্রমাণিত হয়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচে ম্যাকগার্ক-অভিষেকের ওপেনিং জুটি ১১৪ রান যোগ করে দলের ইনিংসে। ম্যাচের ফলাফলে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলে ওপেনিং জুটি। শক্ত ভিতের উপরে দিল্লি বিশাল রানের ইমারত গড়তেই জয় তুলে নিতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি তাদের।
দিল্লির গেম প্ল্যান সফল হলেও তাদের সাজঘরে ফাটলের ইঙ্গিত দেখা যায় মুম্বই ম্যাচ শুরুর ঠিক আগেই। বাউন্ডারির বাইরে দিল্লি কোচ রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে উত্তেজিত ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখা যায় পৃথ্বী শ-কে। কোচের সঙ্গে পৃথ্বীর তর্ক করার ভিডিয়ো ব্রডকাস্টারদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়। স্পষ্ট বোঝা যায় যে, নিজের বাদ পড়া মেনে নিতে পারেননি পৃথ্বী।
ধারাভাষ্যকারদেরও এই বিষয়ে আলোচনা করতে শোনা যায়। আকাশ চোপড়ারা এমনও মন্তব্য করেন যে, বাদ পড়া ক্রিকেটারের সঙ্গে সচরাচর ড্রেসিংরুমের ভিতরে আলোচনা করতে দেখা যায় টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে ম্যাচের সময় বাউন্ডারি লাইনের বাইরে বাদ পড়া ক্রিকেটারকে এভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছেন কোচ, এমন ছবি সচরাচর দেখা যায় না। সঙ্গত কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পৃথ্বীর উত্তেজিত আচরণ নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়।