আইপিএলে এবার ব্যাটারদের রমরমা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাদের আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তুলেছে এবার। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলও এবারের আইপিএলেই নিজেদের সর্বোচ্চ রান তুলেছে। পঞ্জাব কিংস তো কলকাতার মাঠে এসেই ২৬২ রান করেছে, যা তাঁদেরও সর্বোচ্চ। আইপিএলে এবারে ব্যাটাররা যেন ২০০৩ ফুটবল বিশ্বকাপের ব্রাজিল। মাঠের নামলেই প্রতিপক্ষ দলের থরহরি কম্প অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। স্টার্ক, নরকিয়াদের মতো ১৫০কিমি প্রতি ঘন্টায় বোলিং করা বোলারদের ওপরই ঝড় চলে যাচ্ছে মাঝে মধ্যে। এরই মধ্যে আইপিএলে তৈরি হল নতুন নজির। শুক্রবারের সন্ধ্যা থেকে শুরু করে শনিবারের বিকেল পর্যন্ত টানা তিন ইনিংসে উঠল ২৫০-র বেশি রান। কলকাতা, পঞ্জাবের পর দিল্লি ক্যাপিটালসও আইপিএলের ম্যাচে শনিবার করল ২৫৭ রান।
আরও পড়ুন-তীরন্দাজি বিশ্বকাপে বাজিমাত ভারতের, সোনার হ্যাটট্রিক জ্যোতির
শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্স করেছিল ৬ উইকেটে ২৬১ রান। যা দেখে মনে হয়েছিল, সহজে না হলেও পঞ্জাবের বিপক্ষে সেই ম্য়াচ হয়ত জিতে যাবেন নারিন, রানারা। কিন্তু তা হতে দেননি পঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররা। পাল্টা আক্রমণ করেন তাঁরাও। অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জয়ের সরণীতে ফেরান ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জনি বেয়ারস্টো। শশাঙ্ক সিংও ৬৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। পঞ্জাব করে ২৬২ রান।
আরও পড়ুন-IPL 2024- কান্নাকাটি বন্ধ করে নিজেদের ক্ষমতার সেরা ব্যবহার করো, বোলারদের উপদেশ শাস্ত্রীর
ক্রীড়াপ্রেমীরা যখন শনিবার দুপুরে একটু ঘুম লাগিয়েছে এই ভেবে যে রোজ রোজ কি আর এত ব্যাটিং তাণ্ডব দেখা যাবে, তাঁরাই ঘুম থেকে উঠে দেখছেন বিশাল মিস হয়ে গেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস দলও যে লুক উড, হার্দিক পান্ডিয়াদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন। ৪ উইকেটে তাঁরা ২৫৭ রান করেছে। যার মধ্যে মুম্বইয়ের অধিকাংশ বোলারের ইকোনমি চোখে দেখা যাচ্ছে না। যদিও সেই বুমরাহ ব্যতিক্রম, উইকেটও নিয়েছেন। ইকোনমিও ৯-এর কম। এদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ইকোনমি ২০.৫০, লুক উডের ইকোনমি ১৭। ২৭ বলে ৮৪ রান করেন জ্যাক ফ্রেজার। ১৭ বলে ৪১ রান করেন শাই হোপ। বাকিরা মন্দের ভালো। তবে দিল্লি বোলাররাও ছাড়া পাননি। পাল্টা মুম্বইও ২৪৭ রান তোলে। ২৫০ রানের গণ্ডি থেকে মাত্র ৩ রান দুরে থেমে যায় তাঁরা। ১০ রানে হেরে যায় ম্যাচ।
বল করতে এসে দিল্লির কুলদীপ যাদব ও মুকেশ কুমার হার্দিক, তীলক বর্মাদের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের সামনে পড়েন। ফলে তাঁরাও প্রায় ১৫রান প্রতি ওভার ইকোনমিতে বোলিং করেন। উল্লেখ্য একদিন আগেই মজা করে রাজস্থান রয়্যালসের রবিচন্দ্রন অশ্বিন পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি বোলারদের বাঁচানোর কথা বলেছিলেন।