কোন্নগরে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। এই গণধর্ষণকাণ্ডের পরেই অভিযুক্ত যুবক পি শিবা রাও-এর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের নিজস্বী নিজস্বী ভাইরাল হয়েছে। এর পাশাপাশি তৃণমূলের পতাকা হাতে মুখে সবুজ আবির মাখা ছবিও দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত যুবকের। ফলে অভিযুক্তরা যে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত সেই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
অভিযুক্ত সঙ্গে এর আগে প্রাক্তন পুর প্রশাসকের সঙ্গে একটি নিজস্বী ভাইরাল হয়েছিল। এরপরেই বাম এবং বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দুই দল। গতকাল এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে দোষীদের শাস্তির দাবিতে শহরজুড়ে পোস্টার দেওয়া হয়। বিজেপিও দাবি করেছে অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে জোরদার হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা । যদিও এই সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এই অভিযোগ আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক এবং উত্তরপাড়া পুরসভার প্রধান দিলীপ যাদব বলেন, ‘কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যদি কোনও রাজনৈতিক নেতার ছবি থাকে তাহলে সেটা নিশ্চয়ই কাজের সূত্রেই ছিল। অপরাধমূলক কাজ হলে সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে। তৃণমূল অপরাধের পক্ষে নয়, বিচারব্যবস্থা যা বলবে সেটাই হবে। আইন আইনের পথে চলবে।’
কোন্নগরের প্রাক্তন পুর প্রশাসক তথা বর্তমান চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল তন্ময় দেব দাবি করেছেন, ‘অনেকের সঙ্গেই রাজনৈতিক নেতাদের ছবি থাকে। কিন্তু, সেই ব্যক্তি যে অপরাধ করবে তা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কি করে জানবেন! সে তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমন অনেক ব্যক্তি ছবি রয়েছে যারা ব্যাঙ্ক লুট করে পালিয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গেও অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং এই ধরনের ছবি মূল্যহীন। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রচার করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ শিবরাত্রির দিন কোন্নগরে একটি চটকলে ওই তরুণীকে ডেকে প্রথমে ধর্ষণ করে তার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়। এরপর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আরও বেশ কয়েকবার গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ পি শিবা রাও, ভি হরিশ, বি বিবেক ও আকাশ জানা নামে ৪ যুবককে গ্রেফতার করে।