দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন, ভাতা এবং সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে শামসুল ইসলাম নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গ্রেফতার হয়েছেন। বিডিও’র অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ শামসুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনজন তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যও। আর গ্রেফতার হওয়ার পর অভিযোগকারী তিন তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাড়ির আশপাশে মোটরবাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রধানের অনুগামীরা। এমনকী গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ, শনিবার সকালে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দাউদপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি করেও প্রধান হিসেবে বছরের পর বছর ভাতা নেওয়া এবং সরকারি প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
কোন প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার পঞ্চায়েত প্রধান? শুক্রবার রাতে শামসুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। একশো দিনের কাজে দুর্নীতি থেকে শুরু করে গাছ কাটার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী কিছুদিন আগেও কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন পঞ্চায়েতেরই তিন সদস্য।
গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের অবস্থা কেমন ছিল? এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১২ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে ৯জন প্রধানের পক্ষে। বাকি তিনজন প্রধানের বিপক্ষে। এই তিনজনই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে নিয়ে আসে। আব্বাস শেখ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি প্রধানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিডিও’র কাছে নালিশ করেন। বিডিও তদন্ত করতেই দুর্নীতির বিষয় সামনে আসে।