মেঝেয় পড়ে মা ও দিদির দগ্ধ দেহ। পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় ভাই। সোমবার সকালে এই দৃশ্যে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, মা ও দিদিকে পুড়িয়ে মেরে আত্মঘাতী হয়েছে ভাই। কিন্তু শুভম মাইতি নামে ওই যুবক কেন এমন চরম পদক্ষেপ করলেন তা বুঝতে পারছেন না এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বাসপাড়ায় বাড়ি শুভমদের। সোমবার সকালে বাড়ির দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। ওদিকে বাড়ির ভিতর থেকে পোড়া গন্ধ পান তাঁরা। এর পরই পুলিশ ও পরিবারের আত্মীয়দের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মাইতি পরিবারের আত্মীয়রা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, ভিতরে পড়ে রয়েছে মা বিজলি মাইতি (৫৪) ও মেয়ে সুজাতা মাইতি (৩১) এর আধ পোড়া দেহ। পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ছেলে শুভম মাইতি।
এই খবরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তারা। স্থানীয়দের অনুমান ঘুমন্ত অবস্থায় দিদি ও মা-কে পুড়িয়ে মেরে আত্মঘাতী হয়েছেন শুভম। তবে কেন সে এই কাজ করল তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সকালে ওদের বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে আমরা ডাকতে যাই। কিন্তু কারও সাড়া পাইনি। তার পর দেখি ঘরের ভিতরে ভয়ঙ্কর অবস্থা। এরকম হতে পারে আমরা কেউ ভাবতে পারিনি। কী কারণে শুভম এরকম করল বুঝতে পারছি না।