বহু সময় ধরে তল্লাশির পর বি–গার্ডেনের গঙ্গাঘাটে মিলল নিখোঁজ যুবকের দেহ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সূত্রের খবর, নেশা করেছিল ওই যুবক। তার জেরেই তলিয়ে যায় যুবক। গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া যুবকের নাম প্রসেনজিৎ মাজি। রাতভর গঙ্গায় তল্লাশি চালিয়ে মাঝরাতে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। বৃহস্পতিবার বোটানিক্যাল গার্ডেনের রেলিং টপকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় তিন বন্ধু। তবে দু’জনের খোঁজ মিললেও একজনের খোঁজ মিলছিল না। মাঝরাতে নিথর দেহ মেলে।
এদিকে সোনু মাজি, আকাশ মাহাতো এবং প্রসেনজিৎ মাজি তিন বন্ধু বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়েছিল। তারপর সেখানের রেলিং টপকে গঙ্গায় নেমে যায় তারা। তখনই তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। রাতে সোনু ও আকাশকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও প্রসেনজিতের খোঁজ মিলছিল না। গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকায় শেষে মাঝরাতে উদ্ধার হয় প্রসেনজিৎ মাজির দেহ। রিভার ট্রাফিক ও হাওড়া বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশের চেষ্টায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রসেনজিতের দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে পরিবারের অভিযোগ, প্রসেনজিৎ মাজি (১৮) দুই বন্ধুর সঙ্গে গঙ্গার ঘাটে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন বি–গার্ডেনের কিছু নিরাপত্তারক্ষী তাদের তাড়া করে। আর পালাতে গিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় বন্ধুরা। এঁদের মধ্যে একজন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও প্রসেনজিৎ উঠতে পারেনি। বৃহস্পতিবার মাঝরাত পর্যন্ত বি–গার্ডেনের ১ নম্বর গঙ্গার ঘাটে প্রসেনজিতের খোঁজে তল্লাশি চালায় বি–গার্ডেন থানার পুলিশ–সহ হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। তখন উদ্ধার হয় প্রসেনজিতের দেহ।
ঠিক কী বলছেন যুবকের বাবা–মা? কান্না ভেঙে পড়েন প্রসেনজিতের বাবা বাবলু মাজি। তিনি বলেন, ‘বিকেল থেকে ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বি–গার্ডেনের ১ নম্বর ঘাটের কাছে ছুটে এসে দেখি ওখানে ওর জুতো জোড়া পড়ে রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও আমার ছেলে বি–গার্ডেনের ১ নম্বর ঘাটে এসেছিল বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। হঠাৎ বি–গার্ডেনের নিরাপত্তারক্ষী আমার ছেলে ও বন্ধুদের তাড়া করে। আমার ছেলে ও বন্ধুরা গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়।’ প্রসেনজিতের মা চম্পা মাজি বলেন, ‘আমার ছেলে এদিন বন্ধুদের সঙ্গে বি–গার্ডেনের গঙ্গার ধারে গল্প করছিল। তখনই গার্ডেনের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে তাড়া করে। পালাতে গিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়।’