ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডব থেকে প্রাণ ও সম্পত্তি রক্ষা করতে উপকূলে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করল পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসন। সকাল থেকে লাউড স্পিকারে ঘোষণা করে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন প্রশাসনের কর্মীরা। দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর স্পিডবোট ও গাছ কাটার মেশিন।
সোমবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে স্থানীয় মানুষকে সতর্ক করতে শোনা যায়। একই ভাবে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জে।
ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। যারা গভীর সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের সোমবার রাতের মধ্যে সৈকতে ফিরে আসতে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে সাইক্লোন রেসকিউ সেন্টারগুলিতে সরানো শুরু করেছে প্রশাসন। সেখানে মজুত করা হয়েছে পর্যাপ্ত মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সাবান।
পূর্বাভাস অনুসারে, বুধবার বিকেলে ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ কিলোমিটার গতি নিয়ে দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় আমফান। সোমবারই সেটি সুপার সাইক্লোন হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।