উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষায় একের পর এক নজরকাড়া রেজাল্ট। তার মধ্যে নজর কাড়ল স্নেহা ঘোষ ও সোহা ঘোষ। দুজনেই যমজ বোন। দুজনের রেজাল্টই একেবারে সকলের প্রশংসার দাবি রাখে। দুজনেই পরস্পর যমজ বোন। সোহার থেকে ঠিক এক মিনিটের ছোট স্নেহা। স্নেহার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ এবং সোহার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে স্নেহা। উচ্চমাধ্য়মিকের মেধা তালিকার দশম স্থানে রয়েছে সোহা।
দুই ছাত্রীরই চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের ছাত্রী। তাদের বাড়ি চুঁচুড়ার গরবাটি ষষ্ঠীতলা এলাকায়। বরাবরই মেধাবী ছাত্রী তারা। তাদের এই সাফল্যে খুশি তাদের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব তথা গোটা চন্দননগরবাসী।
কোচবিহারের সুনীতি আকাদেমির ছাত্রী প্রতীচী রায় তালুকদার যত নম্বর পেয়েছে স্নেহা ঠিক তত নম্বরই পেয়েছে। তবে স্নেহার দিদি ১ মিনিটের বড় হয়েও সে কিছুটা কম নম্বর পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭।
ওই পরিবার একেবারেই আশা করেনি যে তাদের বাড়ির মেয়েদের নাম মেধা তালিকায় থাকবে। কিন্তু সেটাই হয়েছে। স্নেহার নাম প্রথমে ঘোষণা করা হয়। আনন্দে কেঁদে ফেলে স্নেহা। কিন্তু দিদির নাম নেই কেন? দুজনেই তো একই ধরনের পড়াশোনা করেছে। এরপর একেবারে অধীর অপেক্ষা। তারপর কিছুক্ষণ পরেই দিদির নাম ঘোষণা করা হয়। তবে দিদি মানে এক মিনিটের বড় দিদি। একই বাড়িতে দুই মেয়ের এই বিরাট সাফল্যে খুশি পরিবারের সকলেই।
কিন্তু কী হতে চায় তারা? প্রায় কাছাকাছি নম্বর পেয়েছে তারা। সেক্ষেত্রে এবার তারা কে কী হতে চায় সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরও মিলেছে। নম্বর কাছাকাছি। বয়সের ফারাক এক মিনিট। তবে তারা দুজনেই একই বিষয় নিয়ে পড়তে চায়। সেটা হল দুজনেই অর্থনীতি নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়তে চায়।
দিদি জানিয়েছে, মেয়েদের মধ্য়ে আমার বোন প্রথম হয়েছে। তাই সেটার আলাদা আনন্দ রয়েছে। ও আর আমি একসঙ্গে পড়াশোনা করে এসেছি। তাই কোনও প্রতিযোগিতা নিজেদের মধ্য়ে কখনও ছিল না। এখনও থাকবে না।
তবে এই দুই যমজ বোন শেষ পর্যন্ত কে কেমন রেজাল্ট করে সেদিকে অনেকেরই নজর ছিল। তবে কাউকেই হতাশ করেনি তারা দুজনেই। দুজনেই একেবারে নজরকাড়া রেজাল্ট করেছে। সব মিলিয়ে এই দুই যমজ বোনের ফলাফলকে ঘিরে জোর চর্চা বাংলা জুড়ে।