কয়েকদিন আগেই আসানসোলে গিয়ে পুরসভা নির্বাচনের প্রচার করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকেও বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। এবার সেই আসানসোলেই দেখা গেল বিজেপিতে ভাঙন। আসানসোল বিজেপি এখন ‘জেকে কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিজেপি ছাড়লেন সুদীপ চৌধুরী, সুধা দেবী–সহ একাধিক নেতারা। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়ে যোগ দিলেন। কিন্তু জেকে–র অর্থ কী? বিজেপি ত্যাগ করা নেতারা জানাচ্ছেন, জেকে অর্থাৎ জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই পুরসভা নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে বিজেপিতে এই ভাঙন চর্চার ঝড় তুলেছে। কারণ আসানসোল উত্তর বিধানসভার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুদীপ চৌধুরী বিজেপির হয়ে কাজ করবেন না। তিনি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে অনেকেই এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। ফলে এখানে ক্রমাগত শক্তিবৃদ্ধি করছে ঘাসফুল শিবির।
কারা এলেন বিজেপি ছেড়ে? সুদীপ চৌধুরী–সহ তৃণমূল কংগ্রেসে এলেন বিজেপির জেলার প্রাক্তন সম্পাদক সুধাদেবী, সহ–সভানেত্রী তনুজা সিনহা, মহিলা মোর্চার মণ্ডল সভানেত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়, বুথ সভাপতি জয়প্রকাশ কেশরি–সহ বহু কর্মী–সমর্থক। সুতরাং আসানসোলে বিজেপি সংগঠন জোর ধাক্কা খেল। এই নেতা–নেত্রীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক।
বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে আসা সুদীপ চৌধুরী বলেন, ‘একটা ওয়ার্ডে দল করে সংগঠন গড়ে তুললাম। বললাম, সেখানে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু আমার মতো পুরনো কর্মীর কথা গুরুত্ব দেওযা হল না। অন্য ওয়ার্ডে আমার মত না নিয়ে প্রার্থী করা হল। আসানসোলের বিজেপি এখন জেকে (জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়) কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’ এই বিষয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘সুদীপ চৌধুরীরা দলে আসায় সংগঠন বাড়বে। আরও অনেক প্রার্থী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’