একশো দিনের কাজের সার্ভেতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ভিলেজ রিসোর্স পারসেনকে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের শোলপটিয়া গ্রামে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দেশে একশ’ দিনের কাজের তালিকায় বেছে বেছে শুধুমাত্র তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের নামে নথিভুক্ত করছে গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা (ভিআরপি)। সমীক্ষার ব্যাপাারে গ্রামের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে পর্যন্ত জানানো হয়নি বলে দাবি এলাকাবাসীর। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় গ্রামবাসী সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন: অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরাতে চাইছেন কেন? অভিষেককে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
এদিন গ্রামীণ সম্পদ কর্মী বাসুদেব বাগকে বেশ কয়েক ঘণ্টা আটক করে রাখেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় কয়েকজন তৃণমূলের সমর্থকেরা এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দফায় দফায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি লেগে যায়। বিজেপির স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ প্রসঙ্গে এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিয় রাজ জানিয়েছেন, যাদের জব কার্ডে নাম আছে তারাই টাকা পাবে। জেলা থেকে তেমনই নির্দেশ আছে। সেই কারণেই ঐ পঞ্চায়েত কর্মী সার্ভে করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য জানেন কি জানেন না সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে নতুন কোনো নাম তোলা হয়নি।
আরও পড়ুন: জ্বলছে সন্দেশখালি, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিলেন সুকান্ত
এই দাবি নস্যাৎ করে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুবমোর্চার ইনচার্জ অরূপ কুমার দাস জানিয়েছেন, ওই এলাকার বিজেপি সদস্যকে অন্ধকারে রেখে শুধু মাত্র তৃণমূল সমর্থকদের নাম তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে। বিডিও সাহেব এভাবেই সরকারি আধিকারিকদের ব্যবহার করে এই ধরনের পক্ষপাতিত্বমূলক কাজ করছেন। আমরা চাইব সরকারি আধিকারিকেরা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করুক।