কিছুদিন আগেই কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার সময় হোয়াটসঅ্যাপে লোকেশন শেয়ার করার নির্দেশ জারির অভিযোগ উঠেছিল বারুইপুর হাসপাতালে সুপারের বিরুদ্ধে। এরপরেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়। ক্ষোভ তৈরি হয় চিকিৎসকদের মধ্যে। তাঁদের দাবি ছিল, সুপার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, তার ফলে চিকিৎসকদের সম্মানহানি হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টর ফোরামের পক্ষ থেকেও এর কড়া সমালোচনা করা হয়েছিল। সেই বিতর্কের মাঝেই বদলি করা হল বারুইপুর হাসপাতালের সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের ডেপুটি সুপার হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
এখন এই বদলি রুটিন নাকি বিতর্কের জেরে তাঁকে বদলি করা হয়েছে, তা নিয়ে চিকিৎসক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এর আগে পদোন্নতি হওয়ায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাজের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরে অভিযোগ উঠেছিল, বারুইপুর হাসপাতালের সুপার বিজ্ঞপ্তি জারি করে চিকিৎসক এবং মেডিকেল অফিসারদের কাজের সময় হোয়াটসঅ্যাপে লোকেশন শেয়ার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।
যদিও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, এই ধরনের কোনও নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। বারুইপুর হাসপাতালের সুপার নিজেই এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তারপরে এর ব্যাখ্যা চেয়ে বারুইপুর হাসপাতাল সুপারকে স্বাস্থ্য ভবনে ডেকে পাঠানো হয়।
এছাড়াও বদলি করা হয়েছে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে সুপার সোমনাথ ভট্টাচার্যকে। তাঁকে বাঁকুড়ার কুষ্ঠ আধিকারিক পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এখন ওই হাসপাতালের সুপারকেও অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে বদলি করা হয়েছে, নাকি তাদের রুটিন বদলি করা হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।