নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেন সালেম খান। নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা এবার সিট–কে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে তিনি সিবিআই তদন্তে অনড় ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার ফের ভবানী ভবনে তলব করা হল আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী–সহ মোট ১০ জনকে। এমনকী আমতার এক টোটো চালককেও তলব করা হয়েছে।
এই ওসি–কে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। এবার তাঁকেই ডেকে পাঠানো হল। এর আগেও তাঁকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই ওসি’র নির্দেশেই গত শুক্রবার রাতে আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন হোমগার্ড এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেখানেই মৃত্যু হয় আনিস খানের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা বাংলা। এরপরই গ্রেফতার করা হয় ওই হোমগার্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে। এই নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাইকোর্ট আনিস খানের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
এদিকে আজ, সালেম খানের দাবি অনুযায়ী আনিস খানের সমাধিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। সেখানে ২৪ ঘন্টা নজরদারি করছে পুলিশ। এরপরই সিটকে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনিস খানের পরিবার। শুক্রবার অভিযুক্তদের শনাক্তকরণে টিআই প্যারেড করা হবে। গোটা পরিকল্পনা যখন তৈরি তখন আমতা থানার তৎকালীন ওসিকে তলব করা হয়েছে ভবানী ভবনে।
অন্যদিকে ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? জানতে আরও পাঁচজন সিভিক ভলেন্টিয়ার, আমতা থানার ডিউটি অফিসার, এক কনস্টেবল, এএসআই–কেও তলব করা হয়েছে। ওই রাতে তাঁরাও ছিলেন। তবে আনিসের বাড়ি যাননি। তাই তাঁদের বয়ান এই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সিটের আধিকারিকরা। আর যে টোটো করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আনিস খানকে, সেই টোটো চালককেও তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।