গতবারের মতো এবারও পাহাড়ে অরাজনৈতিক প্রার্থী দিক তৃণমূল, তেমনটাই চাইছে অনীত থাপার দল গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। সম্প্রতি পারিবারিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাহাড়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের কাছে প্রার্থী সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও দিয়েছেন অনীত থাপা। তাতেই এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
গত লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়ে বাইচুং ভুটিয়াকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কিন্তু তাঁকে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে। অনীতরা চাইছেন এবারও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হোক। আনন্দবাজারে প্রতিবেদন অনুযায়ী তাঁদের ব্যাখ্যা, 'পাহাড়ে রাজনৈতিক বিন্যাস আগের মতো নেই। তাই ভেবে চিন্তে পা ফেললেই আসবে সাফল্য।'
যদিও হিসাব বলেছে, পাহাড়ে তৃণমূলের ভোট কার্যত নেই বললেই চলে। দার্জিলিং লোকসভার সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি ও ফাঁসিদেওয়া আসনে বিজেপির কাছে সরাসরি হেরেছে তৃণমূল। হাতে ছিল চাপড়া। সেখানেও সংখ্যালঘু ভোটের জেরে জয় এসেছে।
(পড়ুন। ১ ঘণ্টা আগে অফিসে এসে হতবাক মমতা, একী অবস্থা নবান্নে!)
অনীতরা চাইছেন, তৃণমূল এই তিনটি আসন বাদ দিয়ে বাকি চারটিতে মনোযোগ দিক। কিন্তু তা করলেও সাফল্য আসবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ আসনগুলিতে শাসকদল যে বেশ প্রভাব ফেলতে পেরেছে তেমনটা বলা যায় না। লোকসভা ভোটের আর মাস পাঁচেক বাকি। এই অবস্থা চার বিধানসভা কতটা আয়ত্বে আনা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবু অনীত থাপারা চাইছেন ওই চারটি আসনে মনোযোগ দিক শাসকদল।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। সেখান থেকে আসন ছিনিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। তবু মোর্চা চাইছে তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই জারি রাখতে। সে কারণে একগুচ্ছ কৌশলও নিয়েছে তারা।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে এসে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পিছনে রয়েছে অনীত থাপাদের পরামর্শ তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। কারণ নিয়োগ-সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে টানা পোড়েন চলেছে রাজ্য-সরকার এবং জিটিএ-র মধ্যে। সেই টানাপোড়েন যে কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে, তা বোঝাতেই মুখ্যমন্ত্রী স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত ঘোষণা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।