গরুপাচার মামলায় 'ব্যাকফুটে’ পড়ে গিয়েছেন। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আগেই ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় রবিবার সকাল ১১ টার মধ্যে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিল সিবিআই।
সূত্রের খবর, গত বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিনই (২ মে) বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার গ্রহণের পর সেই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় রবিবার বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতিকে তলব করা হয়েছে।
গরুপাচার মামলায় শনিবার বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে অনুব্রতকে হাজিরার নির্দেশ দেয় সিবিআই। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও অনুব্রত নিজাম প্যালেসে আসেননি। তাঁকে চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরোতে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, অনুব্রতের কোনও প্রতিনিধিও সিবিআইকে কিছু জানাননি। তবে আপাতত কিছুটা অপেক্ষা করছে সিবিআই। তারইমধ্যে বিকেল পাঁচটা নাগাদ চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ঢোকার সময় অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ জানান, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Cow Smuggling Case: SSKM থেকে বাড়ি ফিরতেই ‘স্প্রিন্ট’ CBI-র, গরুপাচার মামলায় আজই অনুব্রতকে তলব
গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে নোটিশ
শুক্রবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম থেকে অনুব্রত ছাড়া পাওয়ার পর সিবিআইয়ের কলকাতার অফিসের তরফে দিল্লিতে যোগাযোগ করা হয়। দিল্লির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শনিবার বিকেলের মধ্যে অনুব্রতকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যে নিজাম প্যালেসে প্রস্তুতি শুরু করে দেয় সিবিআই। চারজনের একটি দল গঠন করা হয়েছে। তৈরি হয়ে যায় প্রশ্নের তালিকা। দু'দফায় তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজিরা দেননি অনুব্রত।
বিষয়টি নিয়ে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, গরুপাচার, বগটুই-সহ নানা ঘটনায় জড়িত আছেন অনুব্রত। সিবিআইয়ের হাজিরার নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চ করেছেন। তাতে লাভবান না হওয়ায় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি হয়েছিলেন। অনুব্রতের এত ভয় কীসের? নাকি নবান্ন পাচ্ছে? একইসুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে, অনুব্রত হয়ত বাঁচার চেষ্টা করছেন। সেটাই স্বাভাবিক। তবে তাঁর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। অনুব্রত নিজের দোষ বুঝতে পেরেছেন। তাই পালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ডাকা হয়েছে।