হাওড়ায় তরুণী অনুশ্রী হাজরার খুনের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃতের স্বামী চন্দন মাজি জানিয়েছেন, বিয়ের পরও একাধিক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে স্ত্রী। সেকথা জানতে পেরেই স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি। চন্দনের এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের পরেও একাধিক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল স্ত্রী অনুশ্রীর। সেকথা জানতে পারেন তিনি। স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু কোনও ভাবেই বহুগামিতা থেকে সরে আসতে রাজি ছিলেন না অনুশ্রী। উলটে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত বছর এপ্রিলে বাবার বাড়ি ফেরত চলে আসেন তিনি। এর পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেন। এমনকী বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন অনুশ্রী।
জেরায় চন্দন জানিয়েছেন, স্ত্রীর এই আচরণ মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। তাই তাঁর মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি হয়। স্ত্রীকে খুন করতে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেন তিনি। তার পর গত রবিবার অনুশ্রীকে দেখা করতে বলেন। অনুশ্রী রাজি হননি। এর পর অনুশ্রীর অপেক্ষায় অন্ধকারে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। তনুশ্রী কাছে আসতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এর পর এলাকা ছেড়ে পালন তিনি। পালানোর সময় একটি পুকুরে অনুশ্রীর ফোন ও আগ্নেয়াস্ত্রটি ফেলে দেন চন্দন।