একে তো লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচে হেরে খাদের কিনারায় গিয়ে ঠেকেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তার উপর হেরে উঠার পরেই মুম্বই শিবিরে উড়ে এল বড়সড় দুঃসংবাদ। একানা স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ব্যর্থ লড়াইয়ের পরেই আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ ধেয়ে আসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে। ফলে একধার থেকে মুম্বইয়ের সব ক্রিকেটারের ঘাড়ে নেমে আসে শাস্তির খাড়া। পার পাননি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে অর্ধেক ম্যাচ খেলা নুয়ান তুষারাও।
লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে নিয়ম ভাঙার জন্য মূল কালপ্রিট হিসেবে চিহ্নিত করা হয় মুম্বই দলনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে। ফলে তাঁর শাস্তি হয় সব থেকে বেশি। সেই সঙ্গে কড়া চোখ রাঙানি উড়ে আসে হার্দিকের জন্য। কেননা ফের একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাসিতও হতে হবে পান্ডিয়াকে।
চলতি আইপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ওভার-রেট বজায় রাখতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ে তারা নিজেদের ২০ ওভারের বোলিং কোটা শেষ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ফের স্লো ওভার-রেটেয় দায়ে পড়ে এমআই। মরশুমে দ্বিতীয়বার নূন্যতম ওভার-রেট সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে পড়ায় তাদের ক্যাপ্টেন-সহ সব ক্রিকেটারের শাস্তি হয়।
দ্বিতীয়বার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য হার্দিক পান্ডিয়াকে ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রথমবার এমন অপরাধের জন্য তাঁর জরিমানা হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, এবার জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ হয়ে যায়।
প্রথমবার মুম্বই স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ার সময় শাস্তি হয়েছিল একা ক্যাপ্টেনের। দলের বাকি খেলোয়াড়রা সেক্ষেত্রে পার পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে এবার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার-সহ মুম্বইয়ের বাকি সব ক্রিকেটারকে ৬ লক্ষ টাকা অথবা তাদের ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ অর্থ, যেটার পরিমাণ কম, সেই পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়। সুতরাং, দলের বাকি খেলোয়াড়দের তুলনায় ক্যাপ্টেন পন্তের শাস্তি হয় চারগুণ।
একই আইপিএল মরশুমে তৃতীয়বার স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট দলের ক্যাপ্টেনের ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে আইপিএলের আচরণবিধিতে। সেই সঙ্গে ক্যাপ্টেনকে একটি ম্যাচ নির্বাসিত করার কথাও উল্লেখ রয়েছে আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্টে। পাশাপাশি সেই দলের সব ক্রিকেটারকে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা অথবা ম্যাচ-ফির ৫০ শতাংশ অর্থ খোয়াতে হবে তৃতীয়বার একই অপরাধের জন্য। যার অর্থ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যদি আইপিএল ২০২৪-এ ফের স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ে, তবে একটি ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকতে হবে হার্দিককে।