বারাসত ২ নম্বর ব্লকের মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে স্কুলগুলিকে নিম্নমানের সরবরাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মূলত ছোলা, ডাল ও সয়াবিন এই তিনটি সামগ্রীই নিম্নমানের সরবরাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এনিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভও প্রকাশ করেন। এদিকে অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পড়ে স্কুলগুলির দাবি, এই নির্দিষ্ট দফায় খাদ্য সামগ্রী বিডিও অফিসের নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিডিও অফিসের দাবি, বিডিও অফিস থেকে নির্ধারিত ডিলারের কাছে ছোলা, ডাল, সয়াবিন নিতে বলা হয়েছে এটা ঠিক নয়। এদিকে উত্তর ২৪ পরগণার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠনের দাবি, সরকার যে টাকা সরবরাহ করছে তাতে নামী সংস্থার খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার কথা। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী।
এরপর খোঁজখবর করতে গিয়ে দেখা যায়, সয়াবিনের বস্তায় ছাপা ছিল ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির একটি ঠিকানা। স্কুলে এনে সেই বস্তা খোলার পর দেখা যায় সয়াবিনের প্যাকেটে কলকাতার ক্য়ানাল সার্কুলার রোডের ঠিকানা রয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি কৌশলে বদলে ফেলা হচ্ছে বস্তার ভেতরের সামগ্রী? গোটা ঘটনায় ধন্ধে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে ব্লক প্রশাসন। এদিকে একথা বোঝা যাচ্ছে একাধিক হাত ঘুরে খাদ্য সামগ্রী এসেছে স্কুলে। কিন্তু তারাও এবার দায় ঠেলছে একে অপরের দিকে। খাদ্য সামগ্রী সরবরাহকারী সোসাইটি থেকে খাদ্য মজুত করার গুদাম কর্তৃপক্ষ সকলেই দায় এড়াতে ব্যস্ত। এখানেই প্রশ্ন উঠছে নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহের দায় তবে কার? গোটা ঘটনায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চাইছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।