বারাসতে ডান্স অ্যাকাডেমির আড়ালে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ। তরুণীর নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণের অভিযোগ ডান্স অ্যাকাডেমির কর্ণধারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ ফিরিয়ে দেয় বলে দাবি নির্যাতিতার। অবশেষে সংবাদমাধ্যমের তৎপরতায় মামলা রুজু হলে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ক্লোজ করা হয়েছে বারাসত মহিলা থানার এক আধিকারিককে।
খুনের পর থেকে হাওড়া স্টেশনেই রাত কাটাচ্ছিল সত্যেন্দ্র, চেষ্টা ছিল রাজ্য ছাড়ার
মধ্যগ্রামের বাসিন্দা পেশায় নৃত্যশিল্পী ওই তরুণীর দাবি, বারাসতে একটি ডান্স অ্যাকাডেমির বান্টি বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর মাসকয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়। বান্টি তাকে জানায় একটি ডান্স অ্যাকাডেমি চালায় সে। তার মাধ্যমে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেতে পারে তরুণী। সেকথা শুনে বান্টির ডান্স অ্যাকাডেমিতে যাতায়াত শুরু করে তরুণী। অভিযোগ, তখন তার নগ্ন ভিডিয়ো তুলে রাখে বান্টি। এর পর সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর ওই ভিডিয়ো ডিলিট করতে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে যুবক। তরুণীর দাবি, টাকা দিলেও ভিডিয়ো ডিলিট করেনি সে।
তরুণীর দাবি, কোনও উপায় না দেখে বারাসত মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে প্রথমে ফিরিয়ে দেন থানার এক আধিকারিক। বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে পারলে পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। এর পর মূল অভিযুক্ত বান্টি বিশ্বাস, তাঁর স্ত্রীসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যে আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিলেন তাঁকে ক্লোজ করেছে জেলা পুলিশ।