রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও থামছে না হিংসা। জেলায় জেলায় শাসকের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে বিরোধীরা। উল্টোটাও ঘটছে কখনও। একই মধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর অত্যাচারের মানবতাবিরোধী অভিযোগ এল পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে। অভিযোগ, মারধরের পর বিজেপি কর্মী জল খেতে চাইলে তার মুখে প্রস্রাব করে দেয় তৃণমূলের গুন্ডারা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার মায়তা এলাকার ওই বিজেপি কর্মীকে দিন কয়েক আগে দলীয় পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলি দুর্বৃত্তরা। তাঁকে তৃণমূলে যোগদানের জন্য হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এলাকায় তৃণমূল জেতায় পিকনিকের আয়োজন হয়েছিল। সেই পিকনিকে অংশগ্রহণ করতে বিজেপি কর্মীর কাছে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তাঁর কাছে টাকা নেই বলে জানান ওই বিজেপি কর্মী। এর পর তৃণমূল পার্টি অফিসের মধ্যেই মত্ত তৃণমূল কর্মীরা ওই বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, আহত বিজেপি কর্মী কাতরাতে কাতরাতে জল খেতে চাইলে তৃণমূলের গুন্ডারা তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয়। আহত ওই বিজেপি কর্মী বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি।
এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি শমিত দাস বলেন, ‘আমাদের কর্মীকে তৃণমূলিরা তুলে নিয়ে গিয়ে ওদের পার্টিতে যোগদানের জন্য জোর দেয়। এর পর তাঁর কাছে পিকনিকে যোগদানের জন্য টাকা চায় তারা। কিন্তু টাকা দিতে পারবেন না বলে জানালে আমাদের কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এর পর জল খেতে চাইলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এটা একটা জঘন্য অপরাধ। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তিনি বলেন, ‘হিংসা রুখতে আমরা সব জায়গায় কড়া নজর রেখেছিলাম। ২ দিন পর এখন এসব অভিযোগ করছে কেন? ঘটনার দিন কেন এসব প্রকাশ্যে আসেনি? আষাঢ়ে গল্প ফাঁদলে হবে?’