কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নেতৃত্বে পাহাড় ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হলেও তেমন কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে আসেনি। তাই আগামী নভেম্বর মাসে পরবর্তী বৈঠক হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশের পাহাড় নামাল বিজেপি ও সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি। পাহাড়ের কোনও বিরোধী দলকে এই বৈঠকে ডাকা হয়নি বলে খবর। আর এই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিমল গুরুং। তিনি আগে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। একুশের নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন।
এই বৈঠকে পাহাড়ের নানা সমস্যার কথা শুনেছেন অমিত শাহ। তিনি পাহাড়ের সার্বিক উন্নতি চান বলেও বৈঠকে জানিয়েছেন। তবে কিভাবে তা সম্ভব হবে তা নিয়ে কিছু বলেননি। পরবর্তী বৈঠক নভেম্বর মাসে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা জানান, রাজ্য সরকারকে পরবর্তী বৈঠকে উচ্চপদস্থ কাউকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
পাহাড় নিয়ে আগে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে এই বিষয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই সূত্রের খবর। এই বৈঠকে কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচাকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে বিমল গুরুং বৈঠক নিয়ে বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে ১১ বছর ঘর করেছি। ওরা পাহাড়ের জন্য কিছুই করবে না।’ যদিও বিজেপি নেতাদের দাবি, জিটিএ দখল করে রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত উন্নয়ন, প্রগতি পাহাড়ে হচ্ছে না। এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রাক্কালে পাহাড়ে পৌঁছে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তা নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়। এখন দেখার শৈলশহরকে কোন পথে নিয়ে যাওয়া হয়।