উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করতে চায় বিজেপি। সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে গিয়ে রাজ্যপাল বাংলা ভাগের উস্কানি দিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপিতে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপরই ভরসা রাখলেন বিমল গুরুং। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন। এবার গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন –এর আওতাধীন এলাকায় শিক্ষক নিয়োগের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তিনি।
গত ২১ জুন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দ্রুত রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার পরেই তাঁকে এই চিঠিটি লিখেছেন গুরুং। এমনকী জিটিএ এলাকায় প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা চিঠির শুরুতেই উল্লেখ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ করেন, তা হলে পাহাড়ে বহু শিক্ষিত ছেলেমেয়ের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন গুরুং।
বিমল গুরুংয়ের চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেষ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল ২০১২ সালে। তারপর ১২৩ জন শিক্ষক ২০১৮ সালে স্থায়ীভাবে নিয়োগ হয়েছিলেন। সেটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যেই। তাই বিজেপি যখন উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার চক্রান্ত করছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের অস্ত্রকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন গুরুং। যিনি আত্মগোপন থেকে আত্মপ্রকাশের পর বাংলার নেত্রীর হাত শক্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন।
ঠিক কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? বিমল গুরুং চিঠিতে লিখেছেন, ‘পাহাড়ে প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে ৬৫৩টি। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। আপনার ঘোষিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জিটিএ এলাকাকেও শামিল করুন। আশা করছি, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জিটিএ অধীনস্থ এলাকা সরকারি উদ্যোগ থেকে বঞ্চিত হবে না।’
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা জানিয়ে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন গুরুং। সাড়ে তিন বছর পর আত্মগোপন থেকে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। সমতলের নির্বাচনে সবসময় তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ফল ভালো হয়নি।