আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। হিরণ বিজেপির বিধায়কও বটে। একদা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। এখন বিজেপিতে। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে মধু খাচ্ছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বিজেপি প্রার্থী তালিকায় হিরণের নাম বিধায়ক থেকে সাংসদ পদে উন্নীত করতেই বেজায় আনন্দ পেয়েছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। আর তার জেরে এক্স হ্যান্ডেলে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে নানা ব্যঙ্গাত্মক কথা পোস্ট করেছেন হিরণ।
হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের এই পোস্ট নিয়ে এখন জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে হিরণের নাম প্রার্থী তালিকায় চূড়ান্ত হলেও তাঁর কাছে বড় চাপের হচ্ছে ঘাটালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করতে চলেছে দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে। তিনি অভিনেতা এবং এখানের স্থানীয় সাংসদ। কাজও করেছেন দেব। এবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রাজ্য সরকার করবে। সেটাও ঘোষণা করা হয়েছে। এই আবহে হিরণ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, ‘আজ ঠিক উনিশ মাস ছয় দিন পূর্ণ হলো, উনি আমাদের মধ্যে নেই– জেলে আছেন। কাশ্যপ মুনির বংশোদ্ভূত এই অদ্ভুত তেজোদীপ্ত মানুষটি গত বছর ২৩ জুলাই, বাংলার ৬ই শ্রাবণ, শনিবার, দশমী তিথিতে বৃষ রাশিতে চন্দ্র গোচরে থাকাকালীন জেলযাত্রায় রত হন।’
বিজেপি হিরণকে সাংসদ করতে চেয়ে নাম ঘোষণা করতেই এই খোঁচা দিলেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল পদ–মন্ত্রী থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এখনও নিয়োগ দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন। সেখানে হিরণ চট্টোপাধ্যায় লিখছেন, ‘কর্মবীর শব্দটি যেন ওনার কাছে এসে ম্লান হয়ে যায়, বাংলাকে শিক্ষা শিল্পে চারশো বছর এগিয়ে দেবার ক্ষেত্রে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন বিষ্ণুমাতার আশীর্বাদে। স্ত্রী পরলোক গমন করার পর শোকাহত অবস্থাতেও নিজের ৭০ বছর বয়সের শরীরটাকে ক্লান্ত হতে না দিয়ে তার ২৯ বছরের বান্ধবী অর্পিতাদেবীর সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে শিক্ষা আর শিল্প দফতরের উন্নয়ন করে গেছেন।’
আরও পড়ুন: ক্লাবের জমির উপর থাবা পড়ল প্রোমোটারের, তুমুল উত্তেজনা দেখা দিল নেতাজিনগরে
পার্থর সঙ্গে অর্পিতা প্রসঙ্গও এভাবে টেনে এনেছেন হিরণ। যা নিয়ে মুখরোচক চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এখানে থেমে থাকেননি হিরণ। এক্স হ্যান্ডেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে নানা কথা লিখেছেন এই বিজেপি প্রার্থী। হিরণ তাঁর লেখার শেষে উল্লেখ করেছেন, ‘এই স্বাত্তিক মানুষটি বার্ধক্যে এসে নিজের রজগুণ এবং তমোগুণকে সম্পূর্ণরূপে বিসর্জন দিয়েছিলেন। এও শোনা যায় যে মা–মাটি–মানুষের এই প্রতিনিধি সারাদিনে মাত্র সারে চার হাজার টাকার ফলমূলাদি আহার হিসাবে গ্রহণ করতেন। আহারে অদৃষ্ট! হে কর্মবীর, লহ প্রণাম!’ তারপর নমস্কারের ইমোজি।