শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির কৃতিত্ব নিজের দলকে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি এবং সন্দেশখালির মহিলাদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিন তিনি এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, 'বিজেপির ক্রমাগত আন্দোলনের কারণে এই সরকার শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হল। সরকার অস্বীকার করছিল। এমনকি তারা স্বীকারও করছিল না যে এরকম কিছু ঘটেছে। আমি আগেই বলেছি যে আমরা শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে সরকারকে বাধ্য করব। আজ বিজেপি এবং সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলনের কারণে সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়েছেন।'
আরও পড়ুন। ‘সুড়ঙ্গের শেষে আলোর দেখা মিলল,’ রাজ্যপালের দেওয়া সময়সীমায় গ্রেফতার শাহজাহান
সন্দেশখালির আন্দোলন শুরু হওয়ার একাধিকবার বিজেপি নেতারা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাববারই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সুকান্ত নিজে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তাঁকে ও যেতে দেয়নি পুলিশ। তিনি বসিরহাট থেকে সরস্বতী পুজোর দিন সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। ইছামতি নদীর তীরে তিনি সরস্বতী পুজো করে। পরে ফের সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিতে তিনি আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
আরও পড়ুন: মানলেন 'ভুল', প্রশ্ন তুললেন ইডিকে নিয়ে, শাহজাহান গ্রেফতারির পর কী বললেন পুলিশ কর্তা?
তার পর দলের বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তদের সন্দেশখালি থেকে বেশ খানিকটা দূরে আটকে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি আছে এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁদের সেখানে যেতে মানা করে মনে পুলিশ। সে পর্যন্ত আদালতের রায়ে সন্দেশখালি ঢোকার সুযোগ পান শুভেন্দু অধিকারী ও উত্তরবঙ্গের বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁরা কথা বলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে।
এর মাঝে একাধিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলকেও সন্দেশখালি র ভিতরে যেতে দেয়নি পুলিশ। সুকান্ত দাবি, এই সমস্ত চাপে পড়েই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হল পুলিশ।
আরও পড়ুন। এতদিনে নামল 'গলার কাঁটা', অস্বস্তি কাটিয়ে শাহজাহানের গ্রেফতারির 'ক্রেডিট' নিতে ঝাঁপ তৃণমূলের