অনুব্রতহীন বীরভূম দখল নিতে মরিয়া বিজেপি। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মীদের মনোবল ফেরাতে চাইছে রাজ্য নেতৃত্ব। তাই প্রাক পুজো সম্মিলনীর পর এ বার বোলপুরে বিজয়া সম্মিলনী পালন করবে দল।
অনব্রতকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংংস্থা গ্রেফতার করার পরই সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। লাগাতার সভা, মিছিল করা হচ্ছে। জেলা নেতৃত্বের দাবি এর ফলে সাধারণ কর্মীদের মনোবল অনেকটা চাঙ্গা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর যে সব কর্মীরা বসে গিয়েছিলেন তারা আবার সক্রিয় হয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এতেই আশার আলো দেখছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলার ১২টি বিধানসভার মধ্যে বোলপুর পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের চন্দ্রনাথ সিনহার বিপরীতে প্রার্থী হয়েছিলেন চিকিৎসক অর্নিবাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে জেতাতে রীতিমতো লজ ভাড়া করে ছিলেন দিল্লি থেকে বিজেপি নেতারা। শেষ বেলায় চন্দ্রনাথ সিনহা জয়ী হলেও ভোট পেয়েছিলেন ৪০ শতাংশ। রাজ্য নেতৃত্ব একে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বিধানসভা ভোটে হারার অন্যতম কারণ অনুব্রত মণ্ডলের রক্তচক্ষু বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই তিনি থাকায় লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে মধ্যমে দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়িয়ে নিয়ে চাইছে বিজেপি।
সোমবার এই বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকবেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যিনি কিছু দিন আগেই বোলপুরের একটি সভায় বলেন, 'অনেক চড়াম চড়াম ঢাক বাজাতে শুনেছেন। অনেক গুড়-বাতাসা খেয়েছেন। এ বার গুড়-বাতাসা খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিন।' তাঁর এই কথাতেই স্পষ্ট লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত ভোট থেকে বীরভূমে জমি শক্ত করতে চাইছে বিজেপি।
সব রাজনৈতিক দলই পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনীকে জনসংযোগ কর্মসূচি হিসাবে নিয়ে থাকেন। বিশেষত সামনে যখন নির্বাচন থাকে। বিজেপি তার অন্যথা করেনি। প্রাক পুজো-পূজো পরবর্তী বিজয়া সম্মিলনী করে কর্মীদের মনোবলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে চাইছে। তাই শুধু বীরভূম নয় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় বিজয়া সম্মিলনী করবে বিজেপি। দিল্লির নির্দেশ মতো রাজ্যের প্রথম সারির নেতারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তবে তাঁর মধ্যে কয়েকটি জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই তালিকার রয়ে অনুব্রতে গড় বীরভূম।