এখন গোয়া সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর হাত ধরে লিয়েন্ডার পেজ থেকে নাফিসা আলি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এখানে বিজেপিকে পরাজিত করে নতুন ভোর উঠবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই গোয়া সফর নিয়ে ফের তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ, শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যে নিজের ঘর সামলাতে পারে না সে অন্যের ঘর ঝাড় দেবে বলে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে রাজ্য থেকে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে কাজে যায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গোয়ায় গিয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে সুযোগ দেওয়া হোক বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘গোয়াতে একদিনের ন্যূনতম মজুরি ৭০০ টাকা। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগে নিজের রাজ্যে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুক। তারপর গোয়ায় গিয়ে কথা বলবেন।’
আজ গোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিল্লির দাদাগিরি চলবে না।’ এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মানেন না। পশ্চিমবঙ্গ কি ভারতের অঙ্গরাজ্য নাকি বাংলাদেশের।’ এখানে আগামী ৩০ অক্টোবর যাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সুতরাং গোয়া এখন রাজনৈতিক উত্তাপে কাঁপছে।
আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘গোয়ায় লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং স্বাস্থ্যসাথীর মতো জনদরদী প্রকল্প চালু করা হবে।’ এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আগে এই রাজ্যের সাধারন মানুষের উন্নয়ন করুক। পরে অন্য রাজ্য নিয়ে ভাববেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি এই দেশে কয়েক দশক দেশ পরিচালনা করবে।’