সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি দুই দলের ব্যাটার মিলিয়েই সর্বোচ্চ স্কোর করেন। তবুও তাঁকে তীব্র সমালোচিত হতে হচ্ছে। আসলে বৃহস্পতিবার কোহলি হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেও, তাঁর মন্থর ব্যাটিং নিয়েই চলছে সমালোচনা। টানা হাফ ডজন ম্যাচে হারের পর, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আরসিবি জয়ে ফিরলেও, কোহলির ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাসকর।
কোহলির মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন
এদিন কোহলি ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর, ৪৩ বলে ৫১ করে আউট হয়ে যান। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার এবং একটি ছক্কা। কোহলির রান দলের জন্য মূল্যবান হলেও, তিনি যে গতিতে স্কোর করছেন, সেটা উদ্বেগের বিষয় বলে দাবি করেছেন গাভাসকর। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আসলে খেলার দ্রুত গতির ফর্ম্যাটে স্ট্রাইক রেটকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: অরেঞ্জ ক্যাপের দখল রাখলেন কোহলিই, বেগুনি টুপির লড়াইয়ে প্রথম পাঁচে ঢুকে পড়লেন নটরাজন
কোহলি প্রথমে ১৮ বলে ৩২ রান করেছিলেন। কিন্তু তার পরের ১৯ রান করতে তিনি নেন ২৫ বল। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে গাভাসকর বলেন, ‘বিরাট কোহলি মাঝের ওভারে তাঁর ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আমার ঠিক মনে নেই, তবে কোহলি ৩১-৩২ রান করার পর একটি বাউন্ডারিও মারেননি। আপনি যখন ওপেন করতে নামছেন এবং ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করছেন, তখন আপনার ১১৮ স্ট্রাইক রেট আশা করা যায় না। দল আপনার থেকে এমনটা আশা করে না। বরং আরও ভাল কিছু আশা করে।’
আরও পড়ুন: SRH-কে হারিয়েও বিশেষ লাভ হল না RCB-র, তবে সুবিধে হল KKR সহ অন্যদের
পাতিদার ঝড়ের পাশে বেমানান কোহলির ইনিংস
যেখানে আরসিবির হয়ে, রজত পাতিদার মাত্র ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন, সেখানে কোহলির ইনিংস আরও মন্থর লাগছিল। রজত পতিদার ২০ বলে ৫০ করে আউট হন। ক্যামেরন গ্রিন আবার ২০ বলে ৩৭ রান করেন এবং আরসিবি-কে ২০০ রান পার করতে সহায়তা করেন। এই ইনিংগুলির পাশে কোহলিরটা সত্যি বেমানান।
আরও পড়ুন: টানা হাফডজন হারের পর জয়ের মুখ দেখল RCB, মার্করাম, ক্লাসেনকে আউট করে হিরো অখ্যাত স্বপ্নিল
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তারা ৭ উইকেটে ২০৬ রান করে। কোহলির ৫১, রজত পাতিদারের ৫০, ক্যামেরন গ্রিনের ৩৭ এবং ফ্যাফ ডু'প্লেসির ২৫ রানের হাত ধরে আরসিবি দু'শো রানের গণ্ডি টপকে যায়। রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের ইনিংস থেমে যায় ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন শাহবাজ আহমেদ। তিনি অপরাজিত ৪০ করেন। তবে শাহবাজ শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৩১ করে রান করেছেন অভিষেক শর্মা এবং প্যাট কামিন্স। দলের বাকিরা কেউ ১৫ রানেও পৌঁছতে পারেননি। ৩৫ রানে ম্যাচটি জিতে যায় আরসিবি।