কাজে আসছে না নন্দকুমার মডেল। রাম-বাম হাত ধরাধরি করলেও তৃণমূলকে পর্যদুস্ত করা গেল না। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ব্লকের তালুক-গোপালপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেল রাম-বাম জোট। এখানে শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই। নন্দকুমার সমবায় সমিতির নির্বাচনে সম্প্রতি তলায় তলায় জোট করেছিল বাম-বিজেপি। আর সেই ফর্মুলাতে তৃণমূল ধরাশায়ী হয়েছিল। এরপর রাজ্যজুড়ে একের পর এক সমবায় সমিতির নির্বাচনে এই ফর্মুলা কাজে লাগাতে শুরু করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই নন্দকুমার ফর্মুলা আর কাজে আসছে না অন্যত্র।
এদিকে তালুক গোপালপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে মোট আসনের সংখ্যা ছিল ৬২। তার মধ্যে ১২টি আসনে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল শিবির। এই আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। পরে বাকি আসনগুলিতে ভোট হয়। এদিকে এই সমবায়ে তলায় তলায় বাম-বিজেপি সহ বিরোধীদের জোট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই জোট ভোটের ফলাফলে একেবারে গোহারা হেরেছে।
মোট ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৯টি আসনই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। বাকি মাত্র একটি আসন পেয়েছে জোট। এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলাতে সমবায় সমিতি নির্বাচনে এই শোচনীয় হারকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ৬২টি আসনের মধ্যে ৬১টি আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সমস্ত মানুষ একসঙ্গে চলতে চাইছেন।
এদিকে জোট নিয়ে সরাসরি বিজেপি নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বামেদের সঙ্গে আমাদের আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে। তবে নীচুতলায় যেগুলি হচ্ছে সেগুলি মানুষ নিজের ইচ্ছায় করছেন। আলাদা করে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট হয়নি বলেও দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।