কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতে গতকাল নতুন করে বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। আর তাতেই দেখা মিলল চমকের। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আগে বহু সমবায় ভোটে রাম-বাম জোট দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে চরম অস্বস্ততিতে পড়েছিল সিপিএম। রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতৃত্ব দলীয় কর্মীদের এই নিয়ে চপম হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল। তবে নন্দকুমারে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে ফের একবার দেখা গেল রাম-বাম জোট। উল্লেখ্য, নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৩। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল ত্রিশঙ্কু ছিল। তবে অগস্টে এখানে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরে আদালতে এই নিয়ে মামলা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৬ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় এখানে বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতোই গতকাল নতুন করে বোর্ড গঠন হয় এখানে। (আরও পড়ুন: হলফনামা পেশে গড়িমসি, '...জরিমানা দিতে হবে', রাজ্য সরকারকে ‘ধমক’ হাই কোর্টের)
প্রসঙ্গত, নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১১টি আসন, সিপিএম ৫টি, বিজেপি ৫টি এবং নির্দল ২টি আসন। এই আবহে বোর্ড দখল করতে এক জয়ী বাম প্রার্থীকে জোর করে গ্রেফতার করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ১১ অগস্ট বোর্ড গঠন হয় সেখানে। সেদিনও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গ্রামে। পরে আদালতে সেই বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়াকে চ্যালঞ্জ জানিয়ে মামলা করা হয়। বামেদের তরফে সেই মামলা লড়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেই মমালার প্রেক্ষিতেই নতুন করে বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এই আবহে গতকাল নতুন করে বোর্ড গঠনের সময় দেখা যায়, জয়ী বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল প্রার্থীরা একসঙ্গে বসে আছেন নন্দকুমারের সিপিআইএম অফিসে। পরে একই সঙ্গে এই ১২ জন প্রার্থী জান বিডিও-র কাছে। বিডিও-র কাছে এদিন যান তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরাও। এই আবহে আগামী ৮ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনও বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় আদালতের শিলমোহর পড়তে পারে। এই আবহে তৃণমূলকে ঠেকাতে রাম-বাম একসঙ্গেই বোর্ড গঠন করছে বলে ধরে নেওয়া যাচ্ছে। এই ডোট গঠন নিয়ে অবশ্য তৃণমূল কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। যদিও বিরোধীরা এই কটাক্ষবাণকে গ্রাহ্য করছে না।