ঠাকুরনগরে গিয়ে ফের একবার CAA নিয়ে মতুয়াদের তাতালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার ঠাকুরনগর স্টেশন খেলার মাঠের জনসভায় শুভেন্দুর নিশানা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়াদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে CAA লাগু হবেই।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি কান খুলে ভালো করে শুনে নিন। CAA কার্যকর হবেই। তার সঙ্গে আমরা বাড়তি পেয়েছি, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও আমাদের কার্যকর করার তালিকায় আছে’।
শুভেন্দুর দাবি, ‘গোখরোর মতো বিষধর সাপকে নিয়ে আমরা শুয়ে আছি। পাশেই বাংলাদেশ। জামাত – রাজাকার তারা চায় এখানে মমতা ব্যানার্জি থাকুক। কারণ, খালেদা জিয়ার স্লোগান জয় বাংলা, সেটাই বলেন মমতা ব্যানার্জি। জয় বাংলা আমাদের ভারতের স্লোগান নয়। শামিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জেন আওয়ামি লিগের এমপি বলেন ‘খেলা হবে’। আর মমতা ব্যানার্জির লোকরা বলে, এবারেও পঞ্চায়েতে না কি খেলা হবে’।
শুক্রবার বিধানভার ঘটনাক্রম নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দেন শুভেন্দু। বলেন, ‘সংসদীয় রাজনীতির সৌজন্য আমি দেখিয়েছি। আমার অফিসে কাল মুখ্যমন্ত্রীর কর্মচারী এসেছিলেন। বললেন, আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী ডাকছে। আমি বললাম আমার শর্ত আছে। আমি একা যাব না। আমার সঙ্গে আরও বিধায়করা যাবে। আমি তিন বিধায়কসহ ৪ জন গেছি। নমস্কার, প্রতি নমস্কার করেছি’।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভেদের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে ভোটের সময় রাজনীতি, সারা বছর উন্নয়ন। এটাই আমাদের মত হওয়া উচিত। মমতা ব্যানার্জির পার্টি পরিবারবাদ আর তোষণের রাজনীতি করে। আর নরেন্দ্র মোদী বিকাশের রাজনীতি করেন। তাই ৫ কেজি চাল গম শুধু হিন্দুরা পান না। সবাই পান। তিনটে করে ভ্যাকসিন বিনা পয়সায় আমরা সবাই পেয়েছি। নরেন্দ্র মোদী ভোদাভেদ করেন না। পাকিস্তান জিতলে বোম ফাটালে আমরা নাই। ভারতে থাকতে গেলে ভারতীয় হতে হবে। রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু আর সনাতনী, আমাদের মিলিত ঐক্য আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি করবে’।