ডানলপ কারখানা এখন বন্ধ। কিন্তু ডানলপ কারখানার কাছে অনেক টাকা পায় হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভা। সেই বকেয়া টাকার পরিমাণ ৩৭ লক্ষ। এই কারখানার মালিকের কাছে বারবার চিঠি লিখে সে টাকা উদ্ধার করা যায়নি বলে অভিযোগ। অগত্যা সেই টাকা ফেরত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বাঁশবেড়িয়া পুরসভা। তারই প্রেক্ষিতে লিকুইডেশন কমিটি সেই আবেদন পেয়ে নড়েচড়ে বসে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার দাবি খতিয়ে দেখতে আসেন কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ দল। এমন ঘটনা যে ঘটেছে তা অনেকের গোচরে ছিল না। কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ দল পা রাখতেই চাউর হয় গোটা ঘটনা।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ দল এসে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তারপর বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান–সহ এক প্রতিনিধিদল আদালতের সদস্যদের ডানলপ কারখানা ঘুরিয়ে দেখান। সেটা দেখে কিছু তথ্য নেন আদালতের সদস্যরা। পরে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার সঙ্গে একটি বৈঠকও হয়। কেমন করে বকেয়া এত পরিমাণ টাকা ফেরত পাওয়া যায় তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। তবে কোনও রাস্তা এখনও বেরিয়ে আসেনি বলেই সূত্রের খবর। সুতরাং বিপাকে পড়েছে বাঁশবেড়িয়া পুরসভা। এই টাকা না পাওয়ায় বাঁশবেড়িয়া পুরসভার আর্থিক সমস্যা হচ্ছে।
অন্যদিকে বাঁশবেড়িয়া পুরসভা সূত্রে খবর, ডানলপ কারখানা বন্ধ থাকলেও ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা বর্ষাকালে ভেঙে পড়ে। তার জেরে জলে ভেসে যায় বাঁশবেড়িয়া পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয় সপ্তগ্রাম এবং ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত অঞ্চলেও। তখন এই সমস্যা থেকে বেরতে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার নিজস্ব তহবিলের টাকা দিয়ে ডানলপের নিকাশি ঠিক করা হয়। কিন্তু একবছর কাটতে চলেছে সেই টাকা মেলেনি। কলকাতা হাইকোর্টের লিকুইডেশন টিমের সদস্যরা সবটা দেখে নিয়েছেন। তবে তাঁরা একটা রিপোর্ট তৈরি করবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চাল ‘পাচার’ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন বিজেপি উপপ্রধান, তুমুল আলোড়ন সিউড়িতে
আর কী জানা যাচ্ছে? বাঁশবেড়িয়ার সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানা বহু বছর বন্ধ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। ২০২২ সালের বর্ষায় ব্যান্ডেল ও সপ্তগ্রাম পঞ্চায়েতের বড় অংশ জলের তলায় চলে যায়। তখনই ডানলপের নিকাশি ব্যবস্থা আটকে যাওয়া সামনে আসে। তখন যা যা করতে হয়েছিল বাঁশবেড়িয়া পুরসভাকে সেটা তুলে ধরা হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ দলের সামনে। এই বিষয়ে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, ‘আমরা জেলাশাসকের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে টাকার বিষয়টি জানিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে পর্যবেক্ষক দল এসেছিল। সব তাঁদের দেখানো হয়েছে।’