ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় তদন্তভার পাওয়ার পরেই তৎপর সিবিআই। এরই মধ্যে এই ঘটনায় একাধিক প্রভাবশালীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এসডিপিও সুব্রত দেবকে। এছাড়াও, তার ভাইপো মিঠুন কান্দুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এছাড়াও, স্কুলের গ্রুপ-ডি কর্মী পেশায় ব্যবসায়ী এবং তৃণমূল নেতা সত্যবান প্রমাণিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিট দাবি করেছিল, তপন কান্দুকে খুনের ব্লু প্রিন্ট করা হয়েছিল একটি হোটেলে বসে। সেই তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই। হেঁসাহাতু গ্রামের বাসিন্দা সত্যবানের একটি ধাবা রয়েছে ঝালদা শহরের হাটতলায়। সেই ধাবার পাশেই হোটেল রয়েছে নরেন কান্দুর। ফলে কোন হোটেলে বসে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল তা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এসডিপিও সুব্রত দেবকে সত্যবানের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআইয়ের। সত্যবানের স্ত্রী বিমালা কংগ্রেসের টিকিটে ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হলেও পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, তপন কান্দুর ছোটবেলাকার বন্ধু এবং প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এখন এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করছে। জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও পরিবারের তরফে এটিকে খুন বলে দাবি করা হয়েছে ফলে ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নেওয়ায় খুশি তাদের পরিবারের সদস্যরা। এখন ঝালদা পুরনো থানায় আগুন লাগার ঘটনাতেও সিবিআই চাইছে কংগ্রেস।