রামপুরহাট গণহত্যার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত আনারুল শেখকে ম্যারাথ জেরা সিবিআই আধিকারিকদের। রবিবার আনারুল ছাড়াও ওই ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। রামপুরহাটের পান্থশ্রী ভবনে সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে রবিবার তাঁদের জেরা করেন আধিকারিকরা। এদিন হাসপাতালে গিয়ে ওই ঘটনায় দগ্ধ ৩ প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও রেকর্ড করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রের খবর, রামপুরহাট গণহত্যায় অনারুল ছাড়াও আজাদ নামে এক তৃণমূল নেতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে সিটের তদন্তে উঠে এসেছে। এদিন দুপুরে তাঁদের রাজ্য পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে পান্থশ্রী ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর টানা জেরা শুরু করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ভাদু শেখ খুনের পর আনারুলকে ফোন করেছিলেন আজাদ। এর পর আজাদের নেতৃত্বেই বগটুই গ্রামে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরোতে দেখা যায়নি অভিযুক্তদের।
এদিন রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৩ প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান রেকর্ড করেন গোয়েন্দারা। সঙ্গে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করেন ঘটনাক্রমের সময় সারণি। এদিন সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে প্রথমে কথা বলতে চাননি গ্রামের মহিলারা। পরে মহিলা আধিকারিকরা গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।