অভিষেক সভামঞ্চ ছাড়তেই সাহেবগঞ্জ, গোঁসানিমারির সভাস্থলে গোপন ব্যালট বাক্স ঘিরে তুমুল হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল। গোপন ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। এমনকী ব্যালট বক্স লুঠ করার চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এটা অন্য কোনও দল করেনি। এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বলে অভিযোগ। গোঁসানিমারির সভার পর দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয়ে গেল। সাহেবগঞ্জের সভার পর ভেঙে পড়ল ব্যালট বক্স। আর তাতেই প্রশ্ন উঠে গেল, কতটা গোপন রইল প্রার্থী বাছাই?
আজ, মঙ্গলবার শুরু হয়েছে তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি। সেখানে দেখা গেল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা মঞ্চ থেকে নেমে যাবার পর মাঠের কিছুটা দূরে ভেঙে পড়ে রয়েছে ব্যালট বক্স। ব্যালট পেপার না পেয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে ব্যালট বক্স বলে অভিযোগ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা মঞ্চ থেকে নিজের বুথে প্রার্থী বাছাই করার জন্য ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া চালু করেন ব্যালট বক্সের মাধ্যমে। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ব্যালট পেপার না পেয়ে কিছু কর্মী–সমর্থকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আর ব্যালট বাক্স ভেঙে দেন। এরপর গোসানিমারিতে দ্বিতীয় জনসভা করার পর অভিষেক মঞ্চ ছাড়ার পরেই সভামঞ্চে ব্যালট বাক্স নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। কে দখলে রাখবে ব্যালট বক্স? তা নিয়েই হাতাহাতি।
এদিকে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা হয় পুলিশ কর্মীদের। সাহেবগঞ্জে সভা করার পর অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বক্স রেখে যাচ্ছেন। সেখানে তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সাধারণ মানুষ যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন। কিন্তু তিনি সভাস্থল ছাড়তেই ভোট দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। সবাই ভোট দিতে উঠে যান মঞ্চে। তখন এক গোষ্ঠী ব্যালট বক্স নিয়ে টানতে শুরু করে। অন্য গোষ্ঠী ভোট না দিতে পারার আশঙ্কায় ব্যালট কাগজ ছিঁড়ে ফেলে। তা থেকেই শুরু হয় মারামারি এবং চরম বিশৃঙ্খলা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূল কর্মীদের মঞ্চ থেকে নীচে নামিয়ে দেয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে এই ঘটনার কথা কানে যায় অভিষেকের। তাই তিনি শীতলকুচির সভা থেকে ঘোষণা করেন, ‘পঞ্চায়েতের পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিজে থেকে কাল ভোট করাব। সিতাইয়ের গোঁসাইবাড়ির মাঠে আবার ভোটগ্রহণ হবে। কেউ যদি মনে করে জোর করে গণ্ডগোল করব, দাদাগিরি করব, তা চলবে না।’ আর তারপরই এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে লেখেন, ‘প্রচুর লোক একসঙ্গে মঞ্চের উপর উঠে পড়েছিলেন। যার জেরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আসলে এমন ব্যালট পদ্ধতি দেখে উৎসাহিত হয়েই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কয়েকজন। আগামিকাল, বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে একই জায়গায় ভোটগ্রহণ হবে।’