বেশ রমরম করেই চলছিল মায়ের রান্নাঘর। দুপুর হলেই দুমুঠো খাবারও জুটে যাচ্ছিল অনেকের। কিন্তু রবিবার দুপুরে আচমকাই দুপুরে খেতে এসে আলিপুরদুয়ারের অনেকেই দেখেন মা ক্যান্টিলে তালা ঝুলছে। এরপর বেকায়দায় পড়ে যান তাঁরা। স্থানীয় গরিব মানুষ অনেকেই দুপুর হলেই চলে আসতেন এই মা ক্যান্টিনে। ক্যান্টিনের ঝাঁপ আচমকাই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো বিধানসভা ভোটের আগে আলিপুরদুয়ার কলেজ হল্ট এলাকায় এতদিন চালু ছিল এই ক্যান্টিন। প্রায় ২০০ জন মানুষ এই ক্যান্টিনে নিয়মিত খেতেন। চা বাগান অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ারে এই মা ক্যান্টিন ছিল অনেকেরই ভরসার জায়গা। ভিক্ষাজীবী, হতদরিদ্র মানুষ দুপুর হলেই এই ক্যান্টিনে ৫টাকার বিনিময়ে ভাত, ডাল, সবজি ও ডিম খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। রবিবারও অন্যান্যদিনের মতোই মা ক্যান্টিনে খেতে এসেছিলেন অনেকেই। কিন্তু তাঁরা এসে দেখেন ক্যান্টিনের দরজায় তালা ঝুলছে। এদিকে কার্যত লকডাউনের পরিস্থিতিতে অন্য কোথাও খাবারও জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা। বাধ্য হয়েই শুকনো মুখেই ফিরে যেতে হয় তাঁদের। তবে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ৩০ শে মে পর্যন্ত ক্যান্টিন বন্ধ থাকতে পারে। মূলত করোনা পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফের মা ক্যান্টিন চালুর বিষয়টি পরবর্তী সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণ এড়াতেই এই বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত ৫টাকায় ডিম ভাত খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছিল মা ক্যান্টিন। মাত্র ৫ টাকায় দুপুরের খাবার পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু সূত্রের খবর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই এই মা ক্যান্টিনের শাখা খোলার কথা থাকলেও তা খোলা হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে এর ধারাবাহিকতাও বজায় রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কোথাও আবার রান্নার মান. ডিম আধখানা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ।