করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার মাত্র দু'সপ্তাহের মধ্যেই হাতেনাতে ফল মিলল। পজিটিভিটি রেট এক লাফে ২০ শতাংশ থেকে কমে পৌঁছল এক শতাংশে। অভিষেকের মন্ত্রে এক লাফে করোনা সংক্রমণ এলাকায় যেভাবে কমেছে তা নিয়ে তাঁর ভুয়সী প্রশংসা করেছেন দলের অন্যান্য নেতারা।
কুণাল ঘোষ, মানস ভুঁইয়া থেকে শুরু করে দেবাংশু ভট্টাচার্য প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অভিষেককে। তৃণমূলের এই নেতা করোনা মোকাবিলায় 'বিপ্লব এনেছেন' বলেই মনে করছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে পথ দেখিয়েছেন তা গোটা রাজ্যে অনুসরণ করা উচিত। এর ফলে আগামী দিনে করোনা মোকাবিলায় বাংলা গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে। অভিষেকদা বিপ্লব এনেছেন।'
প্রসঙ্গত, গত দু'সপ্তাহ ধরেই করোনা মোকাবিলায় ডায়মন্ড হারবারে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডক্টরস অন হুইলস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক পি উলগানাথন জানান, 'ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন। টেস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি ব্লক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়। স্থানীয় নেতারা কাজ করেছেন টিমের মতো। আমরা সকলেই একসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে কাজ করেছি। স্থানীয় বাজারগুলো সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখার পাশাপাশি দুটো করে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো আমরা জোর দিয়েছিলাম। এখন তার ফল পেয়েছি।'
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচটি ব্লকে চালু করা হয় ডক্টরস অন হুইলস। যার মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিকিসকদের দল করোনা পরীক্ষা করছেন। এই সমস্ত কারণে সাফল্য এসেছে বলেই মনে করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।