প্রতিটি মানুষের বাড়ির কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। এর জন্য রাজ্যজুড়ে প্রায় হাজার হাজার শিবিরের আয়োজন করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাতে বিপুল সংখ্যক কর্মী এই পরিষেবা দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কর্মীরা উৎসাহ ভাতা পেয়ে থাকেন। এই উৎসাহ ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রেও এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। সে ক্ষেত্রে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে উৎসাহ ভাটার টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি শিলিগুড়ির। এ নিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের খড়িবাড়ি বিডিও অফিসের কোষাধক্ষ্য সুনীল কেরকেট্টাকে শোকজ করেছে ব্লক প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে মহিলাদের মিলল শাড়ি, মাংস–ভাতে দেদার খানাপিনা
অভিযোগ, সুনীলের স্ত্রী স্বর্ণা কেরকাট্টার তাঁর কয়েকজন সহকর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে টাকা হাতিয়েছেন। জানা যায়, স্বর্ণা মহকুমা পরিষদের মাদাতি এলাকার একটি গার্লস হস্টেলের দ্বায়িত্বে আছেন। তিনি তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত কিছু টাকা ঢুকবে। পরে টাকা তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে নেবেন। কিন্তু টাকা ঢোকার পর তাঁর সহকর্মীরা জানতে পারেন সেটি হল রাজ্য সরকারের টাকা। তখনই তারা জিজ্ঞেস করেন সরকারি টাকা কেন ঢুকলো? তারপর জানা যায় আসল ঘটনা। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। অন্যদিকে সুনীল গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি এই ঘটনার জন্য বিডিও দীপ্তি সাঁওকে দায়ী করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন বিডিওর নির্দেশেই সমস্ত কাজ হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন বিডিও। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোষাধ্যক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। কত টাকা পাঠানো হয়েছে? তা রিকভার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ দুয়ারে সরকারে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তখনই উৎসাহ ভাতার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সাধারণত যারা দুয়ারে সরকারে কাজ করেন তারা সকলেই কম বেশি চুক্তিভিত্তিক বা স্থায়ী কর্মী হয়ে থাকেন। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যিক। সে ক্ষেত্রে কর্মীদের ৫০০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। কীভাবে এই নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে? তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।