আজ, বুধবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এখানে এসে পুলিশের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। পুলিশ বিষয়টি জানতে চাইলে কিনি জানান, আমি সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক। আমার নাম মহম্মদ সেলিম। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গিয়ে বলতে পারেন। এরপর ঘটনাস্থলের দিকে যান তিনি।
এখানে পৌঁছে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন সেলমি। ঠিক কী বলেছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক? এদিন তিনি বলেন, ‘এখানে তদন্ত হবে। সিট আসবে। কেউ যেন প্রমাণ নষ্ট না করতে পারে। প্রমাণ নষ্ট করতে পারবে শুধু সিট। তাই সিট গঠন করা হয়েছে। অপরাধীরা যখন এই বাড়িগুলিতে হামলা করছিল, তখন পুলিশ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল।’
এদিকে বগটুই গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন সাজিদুল রহমান। সদ্য বিয়ে হয়েছিল সাজিদুলের। তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বিবিকে আনতেই বগটুইতে গিয়েছিলেন সাজিদুল। তবে বগটুই গ্রাম থেকে আর বের হতে পারেননি এই দু’জন। পুড়ে মারা যান এই নবদম্পতি। বিষয়টি নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘দু’মাস আগে ওদের বিয়ে হয়েছিল। আমার জামাইটা কোন ঘরে মারা গিয়েছে দেখতে এসেছি। সেই অধিকার আমার আছে।’
এরপরই তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। সাংবাদিকদের সেলিম বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়াই চপ্পলে রক্তের দাগ আছে। কালীঘাটে মমতার ভাইপোর মতোই এখানে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। আশিসের ভাইপো এসডিপিও–কে কিনে রেখে অত্যাচার চালাচ্ছে। মমতার সিআইডি আর অমিত শাহের সিবিআই মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। কাক কাকের মাংস খায় না। মমতা আর অমিত ঠিক করে দেন কী হবে।’