জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে পুত্রবধুর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল বিধায়কের পুত্রবধূ পিংকি রায় বহুবার থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন, পুলিশ সুপারের কাছেও জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু কাজ না হয় এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিধায়কের পুত্রবধূ। বিধায়ক শ্বশুর, স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন পিংকি রায়।
পিংকির অভিযোগ, ‘গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমি শ্বশুর, স্বামী দিবাকর রায় এবং শাশুড়ি প্রতিমা রায়ের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, থানায় কোনও কেস রেজিস্টার করা হয়নি। আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে লিগ্যাল এইডে। কিন্তু, সেখানে কাজ না হওয়ায় আবার রাজগঞ্জ থানায় যায়।’ তাঁর অভিযোগ, স্বামী দিবাকর রায় তাঁর ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন। শ্বশুর এবং শাশুড়ি তার গায়ে হাত না তুললেও তিনি তাদের ছেলেকে সমর্থন করে গিয়েছেন। ফলে তারাও দায়ী। পুরো বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছেন পিংকি রায়। তার ভিত্তিতে আগামী ১২ জুনের মধ্যে পুলিশকে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।
পিংকির সঙ্গে দিবাকরের বিয়ে হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। অভিযোগ, তারপর থেকেই তার ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি তবে আদালতের নির্দেশে কেস রেজিস্টার হওয়ায় খুশি পিংকি রায়। তাঁর আইনজীবী জানান, নির্যাতনের কারণে দেড় বছর ধরে বাড়িতে রয়েছেন পিংকি। এতদিন ধরে পুলিশ কোনও কেস রেজিস্টার করেনি। তবে আদালতের নির্দেশে কেস রেজিস্টার হয়েছে। ১২ জুনের মধ্যে পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে হবে।