বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য বেনিয়াপুকুরে

সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য বেনিয়াপুকুরে

সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য বেনিয়াপুকুরে

সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। বাড়ির পিছনের সেপ্টিক ট্যাঙ্কের মধ্যে হাত পা মোড়া অবস্থায় ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। শনিবার সাতসকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার গোরাচাঁদ রোডের একটি বাড়ির পিছনে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য পাঠানো হয়। কে বা কারা ওইভাবে যুবকের দেহ জলের ট্যাঙ্কে ফেলে রেখে গেল তা জানতে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। পরে সেখানে উপস্থিত হয় লালবাজারের সায়েন্টিফিক উইংও। বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। সেখানকার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের মোবাইল ফোনের কল ডিটেলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম নিমাই ঘোষ (‌৩৫)‌। মৃত ওই ব্যক্তি আদতে সোদপুরের বাসিন্দা। গোরাচাঁদ রোডের যে বাড়ির সেপ্টিক ট্যাঙ্কে দেহটি পাওয়া গিয়েছে, ওই বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন নিমাই। বাড়ির মালিক রাজীব রায়ের ওষুধের দোকান রয়েছে। তাঁর দোকানেই কাজ করতেন নিমাই। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ওই বাড়ির আশেপাশের বাসিন্দারা মানুষ পচা দুর্গন্ধ পান। প্রথমে তেমন কেউ বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তড়িঘড়ি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে জলের ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালাতেই আঁতকে ওঠেন সবাই। তাঁরা দেখতে পান ওই যুবকের দেহ হাত পা মোড়া অবস্থায় ওই ট্যাঙ্কের মধ্যে পড়ে রয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তদন্তে নেমে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দোকানের মালিক-সহ একাধিক কর্মীকে থানায় নিয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ৮ তারিখের পর থেকে নিমাই নিখোঁজ ছিলেন। কীভাবে নিখোঁজ নিমাইয়ের দেহ মালিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে এল, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ওষুধের দোকানের মালিকের সঙ্গে নিমাইয়ের কোনও বচসা হয়েছিল কিনা বা এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে রাজীব জানিয়েছেন, দোকানের এক কর্মীর সঙ্গে সম্প্রতি মারপিট হয়েছিল নিমাইয়ের। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছ কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বন্ধ করুন