হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে এবার ফের ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তবে ক্ষমতায় ফেরার পরেও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনও অংশে কমেনি তৃণমূলের অন্দরে। নব্য বনাম আদি তৃণমূলের লড়াইতে উত্তপ্ত পশ্চিমমেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার পাউসা গ্রাম। তৃণমূল কর্মী বাবলু ঘোষের উপর হামলার অভিযোগ। দলের একাংশের দাবি মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বাবলু। সেই সময় নব্য তৃণমূলীরা হামলা চালায়। শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এদিকে ঘটনার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী বাবলু ঘোষ। অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। এদিকে আদি তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ না করলে এই দ্বন্দ্ব এবার ভয়াবহ আকার নিতে পারে। দিন কয়েক আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসে যেভাবে ছড়ি ঘোরাচ্ছে তা মানা যায় না।
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর দাদার বরুণ ঘোষের দাবি, সাংগঠনিক মিটিং করে হামলার ছক কষা হয়েছিল। বিজেপি থেকে আসা লোকজনও ওই মিটিংয়ে ছিল। তাদের উসকানিতেই এসব হচ্ছে। দিদির কাছে একটা অনুরোধ কেশপুরটা শেষ হয়ে গেল। আপনি বাঁচান। এদিকে কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে এই হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি এই ধরনের অভিযোগ মানতে চাননি।