এবার দুর্গাপুজোয় সেজে উঠেছে সমুদ্রসৈকত দিঘা। সমুদ্রের উপর যাঁরা চষে বেড়াতে চান তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে রাখা হচ্ছে এক ‘প্রমোদতরী’। সব ঠিক থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই তা চালু করে দেবে দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। দিঘা নায়েকালী মন্দিরের চম্পা খাল থেকে এই প্রমোদতরীর যাত্রা শুরু হবে। সমুদ্রবক্ষে চলবে ‘এমভি নিবেদিতা’ নামক এই প্রমোদতরী। এই জেটি এখন সেজে উঠেছে। এই প্রমোদতরীতে ভেসেই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যাবে। তার সঙ্গে বিনোদনের নানা ব্যবস্থা থাকবে।
কেমন ব্যবস্থা এখানে থাকবে? প্রমোদতরী করে টানা এক ঘণ্টা ভ্রমণ করা যাবে। রোজ দু’টি করে সফর ঠিক করা হয়েছে। দু’টি ডেকে সর্বাধিক ৮০জন পর্যটক বসতে পারবেন। এখানে ছোট রেস্তোরাঁ থাকছে। আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। বাউল এবং নানা লোকসঙ্গীত পরিবেশিত হবে। টিভি কেউ দেখতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও থাকছে। এই প্রমোদতরীতে দিঘা, শঙ্করপুর এবং খাঁড়ি এলাকায় ভ্রমণ করা যাবে। তবে মাথাপিছু কত ভাড়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই প্রমোদতরীতে ভ্রমণ করার জন্য স্পট ও অনলাইন বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এরপর চাহিদা বাড়লে আগামীদিনে ট্রিপের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
ঠিক কী দেখা যাবে? এই প্রমোদতরী করে দিঘা তো বটেই এমনকী দীর্ঘ মেরিনড্রাইভ রাস্তাও দেখা যাবে। মাঝখানে ঝাউবন এবং ম্যানগ্রোভের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যাবে সফররত অবস্থায়। পাখিদের কলতান শুনতে পাওয়া যাবে। আর পর্যটকরা উত্তাল ঢেউ ভেঙে এগিয়ে যাবেন এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে। সমুদ্রের মনোরম পরিবেশের মধ্যে থাকছে খাওয়া–দাওয়া। সমুদ্রতীরবর্তী মৎস্যজীবীদের গ্রাম থেকে শুরু করে তাঁদের জীবন–জীবিকাও দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু যাত্রা শেষ করে আবার নায়েকালী মন্দির এলাকায় ফিরে আসবে প্রমোদতরী।
আরও পড়ুন: মহালয়ায় তিস্তার জলে তর্পণ করা এবার বন্ধ, কেন এমন কঠিন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের?
আর কী জানা যাচ্ছে? এতদিন গঙ্গাবক্ষে প্রমোদতরী দেখা গিয়েছে। কিন্তু বাংলার পর্যটন মানচিত্রে সমুদ্রবক্ষে প্রমোদতরী এটাই প্রথম। প্রমোদতরীর মধ্যে বিশেষ দিনে ছোট অনুষ্ঠান, পার্টিও ভাড়া করা যাবে। পর্যটকদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে দিঘার সমুদ্রবক্ষে এই প্রমোদতরী চালানো হতে চলেছে। এই বিষয়ে উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘এখন প্রস্তুতি অনেকটাই শেষের দিকে। দুর্গাপুজোর আগেই প্রমোদতরীটি চালু করার সবরকম চেষ্টা চলছে। এতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে।’