কলেজ ফেস্টকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হুগলির উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজ। ফেস্ট চলাকালীন চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশেষে কলেজ পড়ুয়াদের ওপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। অথচ অনুষ্ঠান শেষে সেই মঞ্চেই উত্তরপাড়া থানার আইসিকে সংবর্ধনা দিয়েছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি। আর এই ঘটনায় চড়ছে রাজনীতির পারদ। ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এনিয়ে উত্তরপাড়ার রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। যে থানার পুলিশ লাঠিচার্জের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেন সেই থানার আইসিকে সংবর্ধনা দেওয়া হল? তাও আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে। তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
এ নিয়ে পুলিশ এবং তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিজেপি ও সিপিএম। শ্রীরামপুরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নিজের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে একদিকে পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি অন্যদিকে আইসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি রয়েছে। এনিয়ে তিনি পুলিশ ও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও পুলিশ এবং তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন থানার আইসিরা হলেন তৃণমূলের ক্যাডার। আইসিরা হলেন মণ্ডল প্রেসিডেন্ট, এসপি হলেন জেলা প্রেসিডেন্ট। থানাগুলি হল তৃণমূলের অফিস ও মণ্ডল অফিস। তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না।’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, ‘পুলিশের উচিত আইন মেনে চলা। কিন্তু তা না করে ওরা দালালি করে। আমি বারবার বলি এসব না করে ডিআইজি আছো, ডিআইজির মতো কাজ করো। ডিওজি হওয়ার চেষ্টা করো না।’ এছাড়াও পুলিশকে বাঁদর বলেও কটাক্ষ করেছেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল ডুগডুগি বাজায় আর পুলিশ বাঁদর নাচ নাচে। আইসিগুলোর অবস্থা যেমন খারাপ তৃণমূলের অবস্থাও তেমন খারাপ হবে।’প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে কলেজ ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। সেই ফেস্ট চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষের উপর লাঠি চার্জ করে। সেই ঘটনার দুঘণ্টা পরে আইসিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।