চাকরি না পেলে টাকা ফেরত পেতে নেতাদের দরজায় লাথি মারতে হবে। তাদের গাছে বেঁধে রাখতে হবে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে এক জনসভা থেকে জনতার উদ্দেশে এমনই আহ্বান জানালেন দিলীপ ঘোষ। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন তিনি মাইক বাজিয়ে সভা করার অনুমতি কোথা থেকে পেলেন সেই প্রশ্নের জবাব এখনো জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তুফানগঞ্জের নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল দিলীপ ঘোষের সভা। এদিন দিলীপবাবু সেখানে বলেন, ‘কলকাতায় রাস্তাঘাটে গাড়ি আটকাচ্ছে আর এক – দেড় কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এত টাকা! আর এখানে এত গরিব লোক? খাবার নেই দাবার নেই চাকরি নেই। আর এই টাকা কার টাকা? এই গরিব মানুষকে লুঠ করে নিয়ে গেছে’।
তৃণমূলের নাম না করেই তিনি বলেন, ‘তোর ছেলেকে প্রাইমারিতে চাকরি দেব ১০ লাখ দে। তোর ছেলেকে হাই স্কুলে দেব ১২ লাখ দে। তোকে জেলা পরিষদে চাকরি দেব ৫ লাখ দে। যা চেয়ে পারছে। আর লোকও দিয়ে দিচ্ছে বিশ্বাস করে। আগের যিনি SSC-র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি বলেছেন, ৩৮ হাজার লোকের কাছ থেকে কম করে ১০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। ভাবুন কত টাকা হয়। ১৮ হাজার লোক চাকরি পেয়েছে। এখনও ২০ হাজার পায়নি। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু বলছে না’।
দিলীপবাবু বলেন, ‘কেউ কেউ গিয়ে নেতাদের কলার ধরছে মাঝে মাঝে। সময় আসছে। নাম আসছে এক একটা করে। তারা ভিতরে চলে যাবে, টাকা কোথায় যাবে? নেতার বাড়িতে গিয়ে চিৎকার করতে হবে, আক্রমণ করতে হবে। দরজায় লাথ মারতে হবে। টাকা দেও। রাস্তায় বেরোলে গাছে বাঁধতে হবে। যে এই লোকটা আমাকে চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়েছে’।
এর আগেও বিরোধীদের প্রতি শারীরিক হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর একাধিক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। যেজন্য তাঁর প্রচারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। তবে দিলীপবাবুর সাফ কথা, গাঁয়ের লোক যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই কথা বলব।