ভারতীয় মশলা প্রস্তুতকারক এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কিছু পণ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বিশ্বের নানান প্রান্তে। এরই মধ্যে গত ছয় মাসে সালমোনেলা দূষণের কারণে মহাশিয়ান ডি হাট্টি (এমডিএইচ) প্রাইভেট লিমিটেড রফতানি করা পণ্যের ৩১ শতাংশ প্রত্যাখ্যান করেছে আমেরিকা। তার আগে গতবছর আমেরিকায় এমডিএইচের পণ্য প্রত্যাখানের হার ছিল ১৫ শতাংশ। তবে গত কয়েক মাসে সেই প্রত্যাখ্যানের হার এক লাফে ১৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: শাহের ভুয়ো ভিডিয়ো মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে তলব দিল্লি পুলিশের! হাজিরা দিতে হবে বুধে)
আরও পড়ুন: গোপনে কী চলছে বেজিং-মালের মধ্যে? ফের সেই মলদ্বীপে ফিরল চিনা গুপ্তচর জাহাজ
এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর পণ্য নিষিদ্ধ হওয়ার পরই এই পদক্ষেপ করেছে এফডিএ। এফডিএ'র এক মুখপাত্র শুক্রবার রয়টার্সকে বলেন, 'এফডিএ এই সংক্রান্ত রিপোর্টগুলো সম্পর্কে অবগত। এই পরিস্থিতিতে এমডিএইচের পণ্য সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।' এরই মাঝে সম্প্রতি মলদ্বীপও এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। (আরও পড়ুন: কানাডার PM-র বক্তৃতার সময় উঠলে খলিস্তানি স্লোগান, এরপরই বিস্ফোরক ট্রুডো)
আরও পড়ুন: 'স্ত্রী বাড়িতে না থাকলেই...', প্রকাশ্যে দেবেগৌড়ার ছেলে-পৌত্রের 'কুকীর্তি'
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, মাত্রাতিরিক্ত পেস্টিসাইড থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্যের বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরপরই ভারত সরকারের তরফ থেকে এই দুই সংস্থার কারখানায় পরিদর্শনের পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মশলা বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, হংকং এবং সিঙ্গাপুরে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের যে দ্রব্য আছে, সেগুলির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষার নিয়ম চালু করা হচ্ছে। যে রফতানিকারকদের অর্ডার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে মশলা বোর্ড। মূল কারণ খুঁজে বের করতে এবং কোনও ভুল হয়ে থাকলে তা শুধরে নেওয়ার জন্য মশলা বোর্ডের তরফে পরামর্শও দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে রফতানির জন্য যে যে কারখানা ব্যবহৃত হয়, সেখানেও পরিদর্শন চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় মসলা প্রস্তুতকারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্যে যে পরিমাণ 'ইথিলিন অক্সাইড' পাওয়া গিয়েছে, তা নির্ধারিত সীমার থেকে অনেক বেশি। ওই পেস্টিসাইডের ফলে ক্যানসারও হতে পারে। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সিঙ্গাপুর এবং হংকং। এদিকে মলদ্বীপও সেই তালিকায় নবতম সংযোজন।