সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ফার্স্ট বয় বলা চলে পরিচালনার ক্ষেত্রে। কখনও বাইশে শ্রাবণ, কখনও অটোগ্রাফ, কখনও গুমনামি কখনও আবার অতি উত্তম বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন। এখন তো দারুণ ভাবে চর্চায় রয়েছে তাঁর সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি অতি উত্তম। তাঁর চেষ্টা, ভাবনা, পরিশ্রম এবং দক্ষতার জোরেই মৃত্যুর চার দশকেরও বেশি সময় পর পর্দায় ফিরেছেন উত্তম কুমার। আর সেই অসাধ্য সাধন ঘটানোর পরই একেবারে নতুন রূপে ধরা দিলেন তিনি। আইপিএলের ধারাভাষ্যকার হিসেবে এবার দেখা গেল তাঁকে। ক্রিকেট বরাবরই তাঁর প্রথম প্রেম, আর সেটার সঙ্গে এভাবে যুক্ত হয়ে তিনি দারুণ খুশি যে সেটা বলাই বাহুল্য!
আইপিএলের কমেন্টেটর সৃজিত
এদিন সৃজিত মুখোপাধ্যায় নিজেই একাধিক ভিডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁর সহ কমেন্টেটরদের সঙ্গে তিনি রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ভার্সেস গুজরাট টাইটানসের ম্যাচে কমেন্ট্রি দিচ্ছেন কমেন্ট্রি বক্সে বসে।
আরও পড়ুন: সৌরভের দাদাগিরির দিন শেষ! এবার অনির্বাণের সঞ্চালনায় আসছে সারেগামাপা লেজেন্ডস, কবে কখন দেখা যাবে?
আর সেখানেই নিজের স্টাইলে নানা মজার মন্তব্য, মেটাফর, পান ব্যবহার করতে দেখা যায় অতি উত্তমের পরিচালককে। সৃজিতের পাশে দেখা যায় তাঁরই ছবির নায়ক তথা আরেক কমেন্টেটর অনিন্দ্য সেনগুপ্তকে।
একটি ভিডিয়োতে RCB এর খেলোয়াড় ফাফ দু প্লেসিসের খেলা দেখে বলে ওঠেন, 'লোভে ফাফ, ফাফে মৃত্যু।' তাঁর এই উক্তি শুনে হেসে ফেলেন অনিন্দ্য। বলেন, 'বাংলা কমেন্ট্রির স্যাভেজ মোমেন্ট বোধহয় এটাই...'
কে কী বলছেন?
সৃজিত এই ভিডিয়োগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে অনেকেই পরিচালকের এই গুণের তারিফ করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'এই ব্যাপারটা আরও বেশিবার করে হোক।' আরেকজন লেখেন, 'এটা যাতা বিষয় হয়ে গেল একেবারে...'
প্রসঙ্গত এবারের আইপিএলে নানা সময় নানা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের আনা হয়েছে কমেন্ট্রি বক্সে। কেউ বিষয়টা ভালো ভাবেই নিয়েছেন। কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন। এবার তাঁদের পর বাংলার এই স্বনামধন্য পরিচালককে কমেন্ট্রি বক্সে দেখে যারপরনাই খুশি তাঁর ভক্তরা।