অশান্ত সন্দেশখালির শান্ত হবে কবে সেটাই এখন প্রশ্। ক্ষোভ প্রশমনে সরকার শিবির করলেও বাসিন্দাদের দাবি অনুযায়ী শেখ শাহজাহান ধরা না পড়ে শান্ত হবে হবে না বাদাবন ঘেরা এই অঞ্চল। মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলো। ফলে অভিভাবকরা আতঙ্কিত সন্তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
এই পরিস্থিতি অভিভাবকরা চাইছেন তাঁদের সন্তানদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে। সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টার একটি প্রতিবেদনে থেকে জানা যাচ্ছে, স্কুল পড়য়াদের অশান্তির আঁচ থেকে দূর রাখতে বান্দিসারা চেষ্টা করছেন তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে।
এরকমই বেশ কয়েকজন অভিভাবক তাঁদের সন্তানকে নদী পার করে পাঠিয়ে দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। সেখানে মহিষাদল ব্লকের নাটশাল- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হস্টেলে রেখে পড়াশুনা করানোর জন্য ভর্তি করেছেন।
পড়ুন। সমস্যার মূল' শাহজাহান এখনও অধরা! হাই কোর্টের ভর্ৎসনায় মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের
নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে আাবাসিক হিসাবে থেকে তারা স্থানীয় নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সভাপতি শুভজিৎ মাইতি সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের শাখা রয়েছে। তাঁদের মারফত কয়েকজন আশ্রমে আবাসিক হিসাবে আবেদন করে। পরিকাঠামো অনুসারে আমরা ৯ জনকে রাখতে পেরেছি। তারা আবাসিক হিসাবে থাকবে এবং পাশে নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করবে।'
তবে এই ভাবে সন্তানকে পড়াশুনা করানোর জন্য আরও আবেদন এসেছে সন্দেশখালি থেকে। আপাতত নজনকে রাখা সম্ভব হয়েছে।
সে কথা মেনে নিয়েছেন আশ্রমের সভাপতিও। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালির অশান্তির কারণেই এখানে পরিবারের লোক সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছি আমরা। অনেকে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সকলকে আমরা নিতে পারিনি।’ নাটশাল হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক বিপ্রনারায়ণ পন্ডায়ের একই মত। এলাকায় অশান্তির কারণেই বাবা-মা পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩০ জন টিসি নিয়ে এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে ৭ জন সন্দেশখালির। সরকারি নিয়ম রয়েছে টিসি নিয়ে যারা পড়াশোনার জন্য আসবে তাদের স্কুলে ভর্তি করা হবে। তাই আমরা আবেদন অনুসারে ভর্তি করিয়েছি। ওরা সকলেই নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে থেকেই পড়াশোনা করছে।’
আতঙ্কিত পডু়য়ারা জানিয়েছে, স্কুলে পড়শুনা করা যাচ্ছিল। মিটিং হচ্ছে। সারাদিন হইচই। বাবা-মায়ের জন্য তারা চিন্তায় রয়েছে।